কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
গোলাম রসুল। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বন্ধু। মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী ও চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি। এমপি আনার বন্ধু হওয়ার কারণে দাপটেই চলাফেরা তার। কাউকে পরোয়া করেন না তিনি। তার ভয়ে থাকেন মোবরকগঞ্জ চিনিকলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। যখন-তখন গালাগাল করেন কর্মচারীদের। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেন না। এবার মোবরকগঞ্জ চিনিকলের এক কর্মকর্তাকে কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দৈনিক বাংলার ভোরে “শাহীনের বাংলোতে যাওয়া কে এই গোলাম রসুল” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই গোলাম রসুলের অত্যাচারে অতিষ্ঠরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তবে শহরে মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে তাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে গোলাম রসুলকে।
জানা গেছে, গত ২৭ মে সকাল ৯ টার দিকে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অফিস কক্ষে হিসাবরক্ষণ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার আবু রাহাত মোহাম্মদ শামীমকে কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকির পাশাপাশি তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন গোলাম রসুল। এ সময় চিনিকলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ চিনিকলের হিসাবরক্ষণ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার আবু রাহাত মোহাম্মদ শামীম বলেন, গত ২৭ এমডি স্যারের কক্ষে ঘটনাটি ঘটেছিল। এ সময় স্যার ছিলেন। দাপ্তরিক কাজকে কেন্দ্র করে সিবিএ নেতা গোলাম রসুল ধমকের সুরে কথা বলেন। এ সময় তিনিও রাগান্বিত হয়ে যান। পরে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তিনি আমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা ও দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিনিকলের খামারে পুকুর ও জমি লিজ দেয়ার টাকা গোলাম রসুল বলছে দিয়ে দিয়েছি। আর মিলের রেকর্ড বলছে একটি কিস্তি এখনো বাকি আছে। ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে আগেও একদিন বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এদিনও গোলাম রসুল (২৭ মে) আবার ধমকের সুরে কথা বলেন। আমিও এর প্রতিবাদ জানায়। এ সময় সে আমাকে একেবারে টুকরো টুকরো করে ফেলার হুমকি দেয়।
মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুলের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অন্য একটি কাজ করছিলাম। ওদের মধ্যে একটু তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। জমি লিজের টাকা আদায় নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। সাময়িক উত্তেজনা হয়েছিল দু’জনের মধ্যে। পরে সেখানেই বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছিল। বিষয়টি আর কাউকে জানানো হয়নি।