কলারোয়ায় সংবাদদাতা

সাতক্ষীরা জেলা সদর ও কলারোয়া উপজেলার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। আর সেই আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। এতে করে সাধারণ মানুষের ওপর চেপে বসেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ঘোটক।

বাজারে চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মধ্যবিত্ত মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অন্যদিকে বন্যায় সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি। সব মিলিয়ে কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে নিম্ন আর মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। সবজি কেনা এখন দুরূহ ব্যাপার। তাই ডাল আর ডিমের ওপরই ভরসা প্রত্যন্ত এলাকার খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর। সবজির দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে প্রতিটি সবজি কেজি প্রতি দুই থেকে চার গুণ দামে কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এতে অধিকাংশ ভোক্তার সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।

ক্রেতাদের বক্তব্য, বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে অধিক মুনাফার আশায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত মনিটরিংয়ের অভাবই এর মূল কারণ।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি খাচি (৩০টি) ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৮০ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে বিক্রি হয়েছে ১টি ডিম ১৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও কিছুটা কম ছিল। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০-১১০ টাকা। যা দুয়েক দিন আগে ৬০-৮০টাকা ছিল। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ -১৫০ টাকা এর আগে ছিল ৩০-৪০-টাকা, রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০, যা ১ সপ্তাহ আগেও ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। যা আগে ৩০০ টাকা ছিল। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। প্রতি কেজি আলু এখন ৫৫-৬০টাকা। বেড়েছে সব ধরনের সবজির দামও।

খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারদের কাছে মজুত থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পাচ্ছেন না তারা। এ ছাড়া পাইকারি পর্যায়ে পণ্য কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। দামের এই লাগাম টানতে হলে উৎপাদন ও পাইকারি পর্যায়ে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি বাড়াতে হবে জেলা থেকে তদারকিও।

কলারোয়ায় বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শামছুল আলম বলেন, বাজারে পণ্যের দাম শুনে এখন ভয় হয়।

বাজার করতে আসা আরো কয়েকজন ক্রেতা আমির হোসেন, রবিউল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, আশরাফ আলী, বলেন, মাসে যে টাকা আয় হয়, স্ত্রী ছেলেমেয়ে ও পরিবার নিয়ে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কলারোয়ার উপজেলা এলাকায় বাজারের এক ক্রেতা সাহেব আলী বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগে গেছে যেন। সবকিছুরই দাম বাড়তি।

কলারোয়ার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বলেন, মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার যে কোন ব্যবস্থা এখনই নিতে হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version