কালীগঞ্জ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১১তম গ্রেডের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। উপজেলার ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১৭টি বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। পরীক্ষা না দিয়ে বাড়িতে ফিরে যায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিভাবকরা।

অভিভাবকরা পরীক্ষা না নেয়ার বিষয়টিকে অমানবিক বলে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, এই শাটডাউন টা পরীক্ষার পরে করলেও তো সমস্যা ছিল না।

জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর তারিখে তিন দফা দাবিতে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সমবেত হয়েছিল। সেখানে তাদের প্রধান দাবি ছিল ১১ গ্রেড। কিন্তু প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় তারা এই আন্দোলন করছেন।
কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে স্কুলে যায়। কিন্তু শিক্ষকরা পরীক্ষা না নেওয়ায় তারা বাড়িতে ফিরে যায়। শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করছে।

জেলা প্রাথমিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোট ৯০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৪৬টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়েছে। বাকি ৪৬২ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়নি। কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৫০টির মধ্যে মাত্র ১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়েছে।

অভিভাবক বজলুর রহমান জানান, এই বার্ষিক পরীক্ষার সামনে শিক্ষকরা এমন পদক্ষেপ না নিলেও পারতো। এ ব্যাপারে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

কালীগঞ্জ উপজেলার এসবিজিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশফাকুল কবীর জানান, আমাদের দাবি না মানার কারনে আমরা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমিতির সভাপতি নিহার সুলতানা জানান, আমরা গত ৮ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১১তম গ্রেডের জন্য সমাবেশ হয়ছিলাম। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম জানান আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আমরা কমপ্লিট শাট ডাউন করছি।

ঝিনাইদহ জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে আজ বুধবার মাত্র ১৭টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাকি ১৩৩টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version