কেশবপুর পৌর সংবাদদাতা
যশোরের কেশবপুর পৌরসভায় টিসিবির তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। তালিকা করতে যেয়ে মানা হয়নি সরকারি নির্দেশনা। নাম রয়েছে বিএডিসি ডিলার, সারের ডিলার, প্রবাসীর স্ত্রী, সদ্য অপসারিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যের স্বামী, সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার স্বামী, সরকারি চাকরিজীবীদের স্বামীর।
কেশবপুর পৌরসভায় ২৮৩৯ জন কার্ডধারীর তালিকায় ২৭৫৫ নম্বরে কেশবপুর বিআরডিবির চেয়ারম্যান মদন সাহা অপুর নাম। যদিও এ প্রতিনিধিকে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়েছেন। কেশবপুর মেইন রোডে ২তলা বাড়ী উদয় শংকর সিংহের। তালিকায় রয়েছে তার মোবাইল ০১৭৪৯০৯০৯২৯ নম্বর। ফোনালাপে তিনি জানান, উদয় শংকর সিংহের ভাই উত্তম কুন্ডু তিনি। তিনি জানান, সারের ডিলার মিতালী ট্রেডার্স এবং বিএডিসি বিজের ডিলার অপি সিড ফার্মের মালিক তিনি।
তালিকায় তার নাম ২৭২০ নম্বরে। চা বিক্রেতা আবুল কালামের স্ত্রী রেহেনা পারভীন। কেশবপুর পৌরসভার ৫নং ওযার্ডেও বাসিন্দা। স্বামী বিএনপি করে বলে কোন সরকারি সুবিধা পান নি তিনি।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টিসিবির কার্ডের তালিকায় রয়েছে উপজেলা মহিলা লীগ সভানেত্রীর নামও। যার ক্রমিক নং- ২৭৩১ ,। টিসিবির তালিকার ২৭৫৩নং নাম রয়েছে এক সাংবাদিক নেতার। যার স্ত্রী সরকারি চাকুরীজীবী এবং কেশবপুর বাজারে পোস্ট অফিস পাড়ায় রয়েছে দুইতলা বাড়ি।
পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের আকরাম বিশ্বাস জানান। তিনি বার বার চেষ্টা করেও তার নাম তালিকায় তুলতে পরেননি। তালিকায় মিলেছে স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষকদের নাম। সল্প আয়ের জনগোষ্ঠিকে টিসিবির তালিকা করার সরকারি নির্দেশ থাকলেও কেশবপুর পৌরসভার ২৭১২ থেকে ২৮১২ পর্যন্ত ক্রমিক নং অধিকাংশ উপকারভোগীর নামে রয়েছে অনিয়ম। ৯৭ জন উপকারভোগীর অধিকাংশ পৌর এলাকার বাইরের। ২৭৪০নং সাংবাদিক পরিচয়ে মেলে আফরোজা খাতুনের নাম। যার গ্রামের বাড়ি ভালুকঘর স্বামী হাফিজুর মালেশিয়ার প্রবাসী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেশবপুর পৌরসভার বাজার আদায়কারী মিজানুর রহমান জানন, ইউএনও স্যার তালিকা দিয়েছেন আমরা তালিকা অনুযায়ি পণ্য বিতরণ করেছি।