কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
আদম ব্যপারির খপ্পড়ে পরে সর্বস্বান্ত হয়েছেন ভ্যানচালক এক পরিবার। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ঘাগা তালসার গ্রামের ভ্যানচালক জামাল হোসেনের ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর প্রলোভনে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নবীছদ্দীন নামে এক আদম ব্যপারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ভ্যান চালক জামাল হোসেন জানান, একই গ্রামে বাড়ি হওয়ায় নবীছদ্দীন বিদেশে লোক পাঠায় শুনে তাকে আমার ছেলেকে মালয়েশিয়া পাঠানো জন্য বলি। সে মোতাবেক ৩ মাসের মধ্যে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে নবীছন্দী ৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু তারপর চার বছর পার হয়ে গেলে আমার ছেলেকে বিদেশ ত পাঠাতে পারেইনি এমনকি আমার টাকাও ফেরত দেয়নি। এমনকি টাকা ফেরত চাইলে হুমকি ধামকি দেয়। পরে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের পরামর্শে ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতে অভিযোগ করলে অভিযুক্ত নবীছদ্দীন ঠিকমত হাজিরা না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে ২২ অক্টোবর পরিষদে শালিসে হাজির হয়ে তিনি ২ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন দাবি করেন এবং বাকি টাকা ৬ মাসের মধ্যে দেয়ার কথা বলেন। এ সময় চেয়ারম্যান তাকে দুই লাখ টাকা পরিশোধের প্রমাণ এবং বাকি টাকা চেক দেয়ার জন্য ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু তারপর নবীছদ্দীন আর হাজির হননি।
ভুক্তভোগী আরো জানান জমি-জমা বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠানো জন্য টাকা দিয়েছিলাম। এখন টাকা না পেয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছি। এ মুহূর্তে টাকা আদায়ের জন্য ঝিনাইদহ আদালতে মামলা করেছি।
অভিযুক্ত নবীছদ্দীন জানান আমি গ্রামের অনেক লোককে বিদেশ পাঠিয়েছি। ভিসা গ্রহণ না করায় জামালের ছেলেকে পাঠাতে পারেনি। আমি তাকে প্রায় ২ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি বাকি টাকা কিছুদিন পরে ফেরত দেবো বলে চেকও দিতে চেয়েছি কিন্তু আমার সমস্যার কারণে গ্রাম আদালতে হাজির হয়ে চেকটি দিতে পারিনি। কুশনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুখ জামান সবুজ জানান, বাদী জামাল হোসেনের আবেদনের পর গ্রাম আদালতে সমাধানের জন্য অভিযুক্ত নবীছদ্দীনকে পর পর ৩টি তারিখে নোটিশ পাঠালেও তিনি গ্রাম আদালতে হাজির হোননি। যে কারণে বাদী জামাল হোসেনকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী অ্যাড আশরাফুল আলম মালিতা।

