কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
কোটটচাঁদপুরে মাদ্রাসার এডহক কমিটি গঠন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দয়রামপুর গ্রামবাসী। বুধবার বিকেলে দয়ারামপুর ইসলামীয়া আলীম মাদ্রাসা মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তোলা হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দয়ারামপুুর গ্রামবাসীর পক্ষে কোটচাঁদপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আকিমুল ইসলাম আব্বাস।

তিনি বলেন, আমাদের সবার সম্মতিক্রমে ও নেতা-কর্মীদের নির্দেশে মাদ্রাসার এডহক কমিটি গঠনের জন্য আনোয়ার জাহিদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বোর্ডে সেই নাম না পাঠিয়ে স্থানীয় কিছু হাইব্রিড নেতা কর্মীদের যোগসাজসে ফ্যাসিস্ট সরকারের এক দোসরের নাম পাঠিয়েছেন অর্থবাণিজ্যের মাধ্যমে।

বিষয়টি আমরা জানার পর মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে না পেয়ে বাধ্য হয়ে আমাদের এ সংবাদ সম্মেলনের পথ বেছে নিতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগে মাদ্রাসার যত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব আমাদের গ্রামের মানুষের সম্মতিক্রমে করা হয়েছে। এই প্রথম অধ্যক্ষ তার ইচ্ছামত স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কমিটি গঠন করে বোর্ডে পাঠিয়েছেন। আমরা ওই অবৈব এডহক কমিটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। আর তা না হলে সামনের দিনে এ গ্রামবাসী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যা যা করার সেটা করবেন বলে বলেন তিনি। এ ছাড়া ওই কমিটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নিবেন বলে হুমিয়ারি করেছেন তারা সংবাদ সম্মেলনে।

এ সময় দোড়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, ইউনিয়ন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক, সাব্বির রহমানসহ শতাধিক নেতা-কর্মী ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য ও দোড়া ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের সদস্য মইদুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় বিএনপির অধিকাংশ নেতারা শহিদুল ইসলামকে সভাপতি হিসেবে চাচ্ছেন। কারন তিনি একজন যোগ্য ও অভিজ্ঞ মানুষ।

তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একজন ভাল মানুষ। তিনি কোন দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করবেন না। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, দোড়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান তাদের মনোনীত প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে স্থানীয় কিছু নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এ সব করছেন। তিনি আরো বলেন, তারা আমাকেও টাকা ও আমার স্ত্রীর চাকরির প্রলোভন দেখিয়েছিল। আমি রাজি হয়নি। এ জন্য তারা আমার বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছেন।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ বলেন, অভিযোগ একজন তুলতেই পারেন। তবে তা তো প্রমাণ করতে হবে। আমি শিক্ষকতা জীবনে কেমন মানুষ, সেটা এলাকার মানুষ ভাল করেই জানেন।

তিনি বলেন, এই কমিটির ব্যাপারে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামত নিয়েই কমিটি করে বোর্ডে পাঠিয়েছি। এখন তারা কিছু মানুষকে সাথে নিয়ে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এর বিচার আমি গ্রামবাসীর উপর ছেড়ে দিলাম।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version