কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবনের এসএস পাইপের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট অফিসের কারোর জানা নাই কাজের তথ্য। বিষয়টি জানতে চাইলে চটে গিয়ে কেন কি হবে এমন সব পাল্টা প্রশ্ন ছুড়লেন প্রতিবেদককে উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গতবছরের ২৫ এপ্রিল ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬শ ৬৩ টাকা ব্যয়ে এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কাজটি পান চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের জাকাউল্লা কনস্ট্রাকশন। পরে কাজটি কিনে নেন মহেশপুরের মেসার্স মনিরুল আলম খান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ভবনের নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বর্তমানে কাজ চলছে এসএস পাইপের। অভিযোগ উঠেছে এ কাজে ব্যবহৃত এসএস পাইপের পুরুত্ব বা থিকনেস নিয়ে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে কে অবগত করা হলে, তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাকে ঘটনা দেখে রিপোর্ট দিতে বলেন। তবে আজও রিপোর্টটি দেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
কাজের অনিয়মের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী হুজাইফা রহমানকে ফোন দিলে জানা যায় তিনি দেড় মাস ধরে প্রশিক্ষণে আছেন বাইরে। তাই সিডিউল না দেখে কিছু বলতে পারবেন না। তবে কাজটি দেখার জন্য অফিসের সার্ভেয়ার আলী আহম্মদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি সব বলতে পারবেন।
সার্ভেয়ার আলী আহম্মেদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, কাজটি আমার না। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। আপনারা প্রকৌশলীকে জিজ্ঞেস করেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটা সঠিক জানা নাই। সিডিউল দেখে বলতে হবে। তিনি আরো বলেন, দুই এক দিনের মধ্যে নতুন প্রকৌশলী যোগদান করবেন। আপনারা ওনার কাছে জিজ্ঞেস করলে সব পাবেন।
গত রোববার ছিল উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডুর এ উপজেলায় প্রথম কর্ম দিবস। বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিবেদকের উপর চটে গেলেন তিনি। পাল্টা প্রশ্ন করলেন প্রতিবেদককে। বললেন কেন আপনারা এ সব জেনে কি করবেন, আপনারা কি এ কাজটি করছেন।
এরপর তিনি বলেন, আমার কিছুই জানা ছিল না। আমি এখন জানতে পারলাম। খোজ নিয়ে দেখি কোথায় কি সমস্যা হয়েছে।
ঠিকাদার জাকাউল্লা বলেন, এখন কাজ খারাপ করার কোন সুযোগ নেই। কাজ শেষে সংশ্লিষ্ট অফিস কাজ মেপে বুঝে নেবেন। হয়তো কোনো দোকানদারের কাছ থেকে মাল কিনিনি সে আপনাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে।
যেমন পাইপ দিয়ে কাজ করার কথা, সেটা দিয়েই করছেন তারা এমন দাবি ঠিকাদারের।
ঠিকাদার মনিরুল আলম খান (মিন্টু) বলেন, কাজটি আমি কিনে করছি। আর ওই কাজের এসএস পাইপের কাজটি বিক্রি করে দিয়েছি ঢাকার পার্টির কাছে। এ জন্য কি হচ্ছে বলতে পারবো না। তবে এটা দেখে নেয়ার দায়িত্ব প্রকৌশল অফিসের, ওনারা কি করছেন। তিনি বলেন, আমি আগামীকাল কাজের সাইডে যাব। কাজ খারাপ হলে সব খুলতে হবে তাদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, ওটা তো প্রকৌশল বিভাগের কাজ। ওই সম্পর্কে ওনারা ভাল বলতে পারবেন। তিনি বলেন,দিন শেষে সবই আমার মধ্যে, এ কারণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছি। তবে তারা এখনো পর্যন্ত কোন রিপোর্ট আমাকে দেননি।