খুলনা অফিস
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে বের হওয়ার পর ধর্ষণের শিকার এক তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, বিকেলে ওই তরুণীকে ছাড়পত্র দেয়া হবে বলে জানতে পেরে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা ওসিসির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। ছাড়পত্র পাওয়ার পর ওই তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে বের হন। তখন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে যান।
এ সময় আগে থেকে সেখানে অপেক্ষারত দুর্বৃত্তরা ওই তরুণী ও তার মাকে ধাক্কাধাক্কি করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ ছাড়া তাদের ২-৩ জন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর দ্রুত মাইক্রোবাসটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, অপহরণ ও হামলার কথা শুনে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ঘটনাস্থল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Share.
Exit mobile version