বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক সরকারের জন্য আন্দোলন করছে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় এবং দেশের বৈষম্যও কমবে না। আমাদের সমর্থন থাকলেও বর্তমান সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সরকারে জ্ঞানীগুণী পরিচালিত, ভালো কাজ করছে, দুর্নীতি কম থাকলেও দেশে গণতান্ত্রিক সরকার চাই। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে।
শুক্রবার রাতে যশোর শহরের একটি অভিজাত হোটেলে জেলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যাণ্ড ইণ্ডাস্ট্রি আয়োজিত সভায় সভাপতিত্বে করেন সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রহমান খান।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুনাফা সমাজ উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সামাজিক বিনিয়োগ আর্থিক বিনিয়োগের পূর্বশর্ত। এমন বিনিয়োগ প্রয়োজন, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। উৎপাদনশীলতা বাড়লে দেশ উন্নত হবে। রাজনীতি ও অর্থনীতি আলাদা নয়, বরং রাজনীতি অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। দেশের বৈষম্য কমাতে হলে রাজনীতিকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য দরকার একটা পরিবেশ। বিনিয়োগের প্রথম দরকার সামাজিক শৃঙ্খলা। সামাজিক শৃঙ্খলা না থাকলে, ওই সমাজে কোনদিন সামাজিক মূলধন সৃষ্টি হয় না। সামাজিক মূলধন যদি না থাকে,তাহলে আর্থিক বিনিয়োগ হয় না। কোন বিনিয়োগকারী এই সমাজে বিনিয়োগ করবে না।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য গোলাম রেজা দুলু, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজান হোসেন, সিএণ্ডএফ এসোসিয়েশন বেনাপোলের সভাপতি শামসুর রহমান, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি যশোর শাখার সভাপতি রকিবুল ইসলাম সঞ্জয় ও চিন্ময় সাহা প্রমুখ ।
সভায় দেশের বৃহৎস্থলবন্দর যশোরের বেনাপোল বন্দর ও নওয়াপাড়া নদী বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা চেম্বার অব কমার্স অ্যাণ্ড ইণ্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খান। তিনি বিদেশি বিনিয়োগের অন্তত ১০ শতাংশ যশোর অঞ্চলে পাঠানোর অনুরোধ জানান। যাতে দক্ষিণ অঞ্চল আরও সমৃদ্ধ হয়। এছাড়া, তিনি যশোরে একটি কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।