রাজু আহমেদ, বেনাপোল থেকে
বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিনিয়ত ঘোষণাবহির্ভুত পণ্য আমদানির সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে কাস্টমস ৪ নং পরীক্ষণ গ্রুপের রেভিউনিউ অফিসার (আরও) হেলেম উদ্দিন ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এ আরও) খায়রুল আলম। গত ২০ আগস্ট ভারত থেকে ব্লিচিং পাউডারের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ৩টি ট্রাকে ব্লিচিং পাউডারের পরিবর্তে বন্দরে শাড়ি থ্রিপিস প্রবেশ করে। এসব পণ্য রীতিমত ট্রাক টু ট্রাক লোড হওয়ার পর সুপার হেলেম ও দায়িত্বরত এআরও খায়রুল পণ্য চালানটি খালাসের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেন। অভিযোগ ওঠে এ কাজের জন্য তারা নগদ ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন। ওই পণ্য চালানটি বন্দরের ৩৪ নম্বর শেড থেকে বের হওয়ার সময় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা কাস্টমসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে পণ্য চালানটি জব্দ হয়।
২০ আগস্ট ও ২১ আগস্ট ট্রাক থেকে ড্রাম নামিয়ে তার ভিতর উন্নতমানের ভারতীয় শাড়ি থ্রি-পিছ পাওয়া যায়। আর কিছু ড্রামে ব্লিচিং পাউডারের পরিবর্তে বালি পাওয়া যায়। ওই সব ট্রাকে মোট ১২০০ টি ড্রাম ছিল। পণ্য চালানটির আমদানি কারক ছিল খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার জামাল বাণিজ্য ভাণ্ডার। রফতানি কারক প্রতিষ্ঠান কোলকাতার বারাকপুরের চারুবালা এন্টারপ্রাইজ। এবং এর খালাসের দায়িত্ব ছিল বেনাপোল স্থল বন্দরের চৈতী এন্টারপ্রাইজ। পণ্য চালানটির আমাদিন মূল্য দেখানো হয়েছে ৩২০১০ মার্কিন ডলার ওজন ৩৩১২০ কেজি। যার মেনিফিস্ট নাম্বার ৩২৬১।
এ বিষয় বেনাপোল কাস্টমসের ৪ নং পরীক্ষণ গ্রুপে সরেজমিনে গিয়ে সুপার হেলেম ও এআরও খায়রুলের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলে ভুলবশত একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে বলে জানান। আমাদের অফিসারদের সাথে আপনারা কথা বলেন, কোন সমস্যা নেই এ ঝামেলা মিটে গেছে। তাছাড়া কেন নিউজ করে স্থল বন্দরের পরিবশে নষ্ট করবেন না। তারা ওই পণ্য ছাড় করিয়ে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে এরকম প্রশ্নে বলেন, এরকম কোন ঘটনা ঘটে নাই বলে দাবি করেন। আপনারা এসব বিষয় ঘেটা ঘেটি করবেন না। তাহলে আমদানিকারকরা নিরুৎসাহীত হবে।