বিবি প্রতিবেদক
যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত এক নারী মেডিকেল অফিসারসহ তিনজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক ও সেবাদানকারীরা আজ (মঙ্গলবার) এ কর্মসূচি পালন করে। লঞ্ছিতের শিকার অন্য দুজনের মধ্যে একজন নারী উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এবং একজন সেচ্ছাসেবী।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে ‘নিরাপদ কর্মস্থলের’ দাবিতে বেলা ১১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকে মানববন্ধন করেন তারা। তবে এ সময় শুধুমাত্র হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু ছিল।
মানববন্ধনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি, ডা. সুরাইয়া পারভিন, ডা. আকিব হোসেন, ডা. ইয়াসির বিশ্বাস আরাফাতসহ হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসক, পুরুষ ও নারী সেবাদানকারী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
পরে বেলা সাড়ে ১১টায় যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস হাসপাতালে এসে চিকিৎসক ও অন্য সেবাদানকারীদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে সুষ্ঠ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে চিকিৎসক ও সেবাদানকারীরা মানববন্ধন শেষ করে সেবাদান কার্যক্রম শুরু করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে একজন শিশুরোগীকে চিকিৎসা দেয়ার সময় জরুরি বিভাগে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আশরাফুন্নাহারকে থাপ্পড় মারেন ওই রোগীর পিতা। স্বেচ্ছাসেবী ফাহিমকেও মারপিট করেন তিনি। এ সময় জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. বিএম শামসুজ্জামান সোহাগ পরিস্থিতি শান্ত করতে আসলে তার বুকে লাথি মারে এবং একটি বাইসাইকেল ছুড়ে মারাসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি দিয়ে চলে যান তিনি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই। আমরা চাই আমাদের কর্মস্থল নিরাপদ হোক। ডা. লৎফুন্নাহার আরও বলেন, রাতেই ওই ঘটনা চৌগাছা থানায় জানানো হয়। পরে সকালে চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীরা কর্মবিরতি করে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নেন। সিভিল সার্জনের অনুরোধে সেবাদানকারীরা তাদের কর্মস্থলে ফিরে যান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ডা. শামসুজ্জামান সোহাগ গতকাল চৌগাছা থানায় মামলা করেছেন।
ডা. লুৎফুন্নাহার বলেন, এরই মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা কয়েকবার মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং কর্মস্থলকে নিরাপদ করা হবে বলে আশ^স্তও করেছেন তারা।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার বিপ্লব কান্তি বিশ^াস বলেন, এ ঘটনা খুবই অনভিপ্রেত। আমার কোন স্বাস্থ্যকর্মী কোন অন্যায় করে থাকলে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতাম। তবে কোন সরকারি কর্মচারির গায়ে হাত তোলার অধিকার কারও নেই। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। উনারা কর্মবিরতি ও মানবন্ধন করছিলেন। আমরা আশ^স্ত করায় কোন সাধারণ মানুষ যেন ভোগান্তির শিকার না হন এজন্য তারা কর্মস্থলে ফিরে গেছেন।
চৌগাছা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী মামলার বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
শিরোনাম:
- ৭ বছর পর যশোর মটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
- ঝিকরগাছায় রাস্তার পাশ থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
- যবিপ্রবিতে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফায়ার অ্যান্ড সেফটি’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ
- মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরলেন সুন্দরবনে গিয়ে অপহৃত ২ জেলে
- যবিপ্রবির পিটিআর বিভাগের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- প্রেসক্লাব যশোরের কর্মচারী রবি’র পিতার ইন্তেকাল
- কেশবপুরে মাছের ঘের নিয়ে সংঘর্ষ : মৎস্যজীবী লীগ সভাপতিসহ ১৭ জনের নামে মামলা
- চৌগাছায় আ. লীগ নেতা হাবিবের দখলে থাকায় সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার