বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, জনগণ কাকে ভোট দেবে এটি মূখ্য বিষয় নয়, তারা তাদের পছন্দের ব্যাক্তিকে ভোট দেবে। আগে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যে ভোটের এত ত্যাগ, দীর্ঘ লড়াই, সংগ্রাম এবং হাজার হাজার প্রাণের বলি। সেই ভোট নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যে কোন মূল্যে এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। পরিস্কার কথা জনগণের ভোটাধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
বুধবার সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন মহিলা দল আয়োজিত মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও তৃণমূলে মহিলা দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কাশিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অধ্যাপক নার্গিস বেগম আরও বলেন, আজকে অনেকেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব আত্মসাৎ করতে চায়। কিন্তু বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলন একমাত্র বিএনপি নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করেও রাজপথে অবিচল ছিল। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পতন হলেও উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোন কারণ নেই। ভারতে পালিয়ে থেকেও প্রতিনিয়ত দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। জনগণের দাবিতে যখন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তখন সেটা নিয়ে তাদের প্রভু ভারত কথা বলছে। যারা প্রতিনিয়ত দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করে। তাই এই থেকে আমাদের সর্তক থাকতে হবে। যাতে করে কোনভাবেই ভারত আমাদের ওপর চোখ রাঙাতে না পারে।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান নারীদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা শক্তিকে জাগিয়ে তোলেন। আজকে সেই নারীরা দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছেন। কিন্তু এর সূচনাটা করেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। তিনি বুঝেছিলেন, দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। এই নারীদের ঘরে রেখে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সে কারণে তিনি নারীদের ঘরের বাইরে এনে দেশের উন্নয়নে নিয়োজিত করেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
কশিমপুর ইউনিয়ন মহিলা দলের আহ্বায়ক সুমনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মহিলা সমাবেশ আরো বক্তব্য রাখেন, কাশিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, জেলা মহিলা দল নেত্রী ফাইনারা বর্ণা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শিমুল হোসেন, ছাত্রদল নেতা রাব্বি হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সদর উপজেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিনা পারভিন শেলী।