স ম নজরুল ইসলাম, কপিলমুনি
জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিষদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় যেকোন সময় জীবনহানীসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন পরিষদ কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, জেলার পাইকগাছা উপজেলার বাণিজ্যিক শহর কপিলমুনি বাজারে ১৯৬০ সালে মাত্র ৫ শতক জমিতে কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের ভবন স্থাপিত হয়। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে দ্বিতল ভবনের নিচতলা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পরিষদ কর্তৃপক্ষ ২০০০ সালে এলজিইডির অর্থায়নে পরিষদের একাংশের ছাদ ও পলেস্তরা সংস্কার করে সকল কার্যক্রম দ্বিতল ভবনে স্থানান্তর করেন।
এদিকে, দীর্ঘদিন সংস্কার কোন না করায় দ্বিতল ভবনেরও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে দ্বিতল ভবনের ৪টি কক্ষের মেঝের খোয়া ও বালি উঠে গেছে। প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। এমনকি ছাদের বিশাল অংশ ধসে পড়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে জানালা-দরজাসহ ব্যবহার্য্য আসবাবপত্র। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ কর্মচারীবৃন্দ। জীবনহানীর মত শঙ্কা ও অজানা আশঙ্কার মধ্যে প্রতিদিন সেবা নিতে আসছেন ইউনিয়নের শত শত মানুষ। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভবন আধুনিকায়ন করা হলেও কপিলমুনির ঐতিহ্যবাহী এ পরিষদটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন তৎপরতা নেই।
কাজিমুছা গ্রামের আব্দুল গফুর গাজী জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয়। কিন্তু ভবনের যে করুণ অবস্থা তাতে সুস্থ শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারব কিনা সব সময় এ ধরনের ভীতি কাজ করে।
কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দার জানান, বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধ্য হচ্ছি। যেকোন সময়ে ভবনটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।
বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার আগেই জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে আধুনিকমানের নতুন ভবন নির্মাণের দাবি ইউনিয়নবাসীর।