Close Menu
banglarbhore.com
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
Facebook X (Twitter) Instagram
শিরোনাম:
  • ফ্রান্স থেকে শিকড়ের সন্ধানে ফেরা তেহজিবের হৃদয়ে ‘চম্পাবতীর পালা’
  • জমজমাট গদখালীর ফুলবাজার, দুই দিবসে দুই কোটি টাকার ফুল বেঁচাকেনা
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়- যশোরে মেঘমল্লার বসু
  • বিজয়ের উষালগ্নে আজ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন
  • যশোরে বাবার সামনেই উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ছেলেকে হত্যা
  • গণতন্ত্রর উত্তরণের পথ এখানো কুসুমাস্তীর্ণ নয় : অমিত
  • মণিরামপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ
  • চৌগাছায় ইউপি সদস্য দা’র আঘাতে আহত-৩
Facebook X (Twitter) Instagram
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
banglarbhore.combanglarbhore.com
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
রবিবার, ডিসেম্বর ১৪
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
banglarbhore.com
দক্ষিণ-পশ্চিম

জলাবদ্ধতায় ভবদহ অঞ্চলের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়নি

banglarbhoreBy banglarbhoreফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫No Comments
Facebook Twitter WhatsApp
Share
Facebook Twitter LinkedIn

বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের কৃষক নিখিল বৈরাগীর বিলে জমি আছে আড়াই বিঘা। ওই জমির দুই বিঘা পড়েছে বিল বোকড়ে। ১০ কাঠা জমি পড়েছে বিল কেদারিয়ায়। ১০ বছর ধরে বিল দুটি জলাবদ্ধ। এ সময় বিলের তিন ফসলি ওই জমি থেকে তিনি কোনো ফসল পাননি। গত বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় তিনি সেচযন্ত্র দিয়ে পানি সেচে দুই বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছিলেন। এবারও সেচে ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করতে পারবেন বলে নিখিলের মনে আশা জেগেছিল। কিন্তু শেষ সময়ে এসে জমি থেকে পানি না নামায় এবার ধানের একটি চারাও লাগাতে পারেননি তিনি। নিখিল বৈরাগী বলেন, ‘জমিতে এখনো বুক সমান পানি। জমিতে বোরো চাষ করতে পারলাম না।’

শুধু নিখিল বৈরাগী নয়, তার মত যশোরের ভবদহ অঞ্চলের হাজারো কৃষক এবার বোরো চাষ করতে পারেনি। এবার জলাবদ্ধতায় ভবদহ অঞ্চলে ৮ হাজার ২৪৭ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়নি।

অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা তিনটির ভবদহ অঞ্চলে কৃষক আছেন প্রায় ৫০ হাজার। ওই অঞ্চলে ২৪ হাজার ৯০৪ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হতো। এর মধ্যে অভয়নগরে ৭ হাজার ৪০০ হেক্টর, কেশবপুরে ৫ হাজার ৪০০ হেক্টর ও মণিরামপুরে ১২ হাজার ১০৪ হেক্টর। এবার ১৬ হাজার ৬৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। জলাবদ্ধতায় এবার উপজেলার তিনটির ৮ হাজার ২৪৭ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়নি। এর মধ্যে অভয়নগরে ১ হাজার ৪৩০ হেক্টর, কেশবপুরে ২ হাজার ৫৭৮ হেক্টর ও মণিরামপুরে ৪ হাজার ২৩৯ হেক্টর জমি রয়েছে।

জেলার অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ ভবদহ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। ভবদহ অঞ্চলে অন্তত ৫২টি ছোট-বড় বিল আছে। মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদ-নদীর জোয়ার–ভাটার সঙ্গে এসব বিলের পানি ওঠানামা করে। কিন্তু পলি পড়ায় নদীগুলো নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে এসব নদ-নদী দিয়ে এখন ঠিকমতো পানিনিস্কাশন হয় না। এই অবস্থায় ১৩ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর টানা বর্ষণে ভবদহের ৩৩৮ দশমিক ২৭৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। অতিবৃষ্টিতে এলাকার বিলগুলো প্লাবিত হয়। বিল উপচে পানি ঢোকে বিলসংলগ্ন গ্রামগুলোতে। ভারী বৃষ্টিপাতে অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার ২৩৬টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। এসব গ্রামের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি, ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট এবং মাছের ঘের পানিতে প্লাবিত হয়। পান্দিবন্দী হয়ে পড়েন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। দুর্ভোগে পড়েন পানিবন্দী মানুষ। এরপর ভবদহে শ্রী ও হরি নদ-নদীতে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে পাইলট (পরীক্ষামূলক) চ্যানেল কাটার কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। একপর্যায়ে বাড়িঘর থেকে পানি নেমে যায়। এখনো এই অঞ্চলের বেশির ভাগ বিল পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এপ্রিল পর্যন্ত বোরো মৌসুম। বোরোর বীজতলা তৈরির সময় ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। বোরো ধানের চারা রোপণের সময় ১ থেকে ৩১ জানুয়ারি। নাবিতে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধানের চারা রোপণ করা হয়।

ভবদহ অঞ্চলের অন্তত ১০টি বিল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বিলগুলো ভরে আছে পানিতে। বিল বোকড়, বিল কেদারিয়া, বিল কপালিয়া, বিল গান্ধীমারী, বিল গজালমারী ও বিল পায়রায় শুধু পানি আর পানি। বিলের কোথাও কোনো ধানখেত নেই।
মণিরামপুরের হাটগাছা গ্রামের কৃষক শুভংকর বৈরাগী বলেন, ‘গান্ধীমারী বিলে আমার তিন বিঘা জমি আছে। গত বছর পানি সেচে তিন বিঘা জমিতে বোরোর চাষ করেছিলাম। এবার এখনো জমিতে চার থেকে পাঁচ-সাত ফুট পানি। পানি সেচে বোরো ধান করতে পারিনি। কী যে হবে এবার!’ বিলগুলো ভরে আছে পানিতে। বিল বোকড়, বিল কেদারিয়া, বিল কপালিয়া, বিল গান্ধীমারী, বিল গজালমারী ও বিল পায়রায় শুধু পানি আর পানি। বিলের কোথাও কোনো ধানক্ষেত নেই।

ভবদহ পানি নিস্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘কৃষি অফিস ভবদহ অঞ্চলের কৃষিজমি এবং জলাবদ্ধ কৃষিজমির যে তথ্য দিয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য এবং বিভ্রান্তিকর। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পানি সরিয়ে জলাবদ্ধ ভবদহ অঞ্চলে বোরো চাষ করার। নদী জরুরি খনন করে এবং বাধা অপসারণ স্লুইসগেটের গেটগুলো খুলে দিলে ওপরের অংশের পানি নেমে যেত। বিলে বোরো ধান হতো। কিন্তু পাউবো সেটা করেনি। পাউবো কেবল ভবদহে ফসল ফলিয়ে দেয়ার সরকারি প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করেনি, সরকারি সিদ্ধান্তকেও বানচাল করেছে। ভবদহের বেশির ভাগ জমিতে যে এবার বোরো চাষ হলো না, এর জন্য পাউবো দায়ী।’

পাউবোর যশোর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, ভবদহ এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য এক্সকাভেটর দিয়ে হরি নদের ১৪ দশমিক ১২ কিলোমিটার পাইলট চ্যানেল কাটার কাজ শেষ হয়েছে। খনন চলছে। ভবদহ ২১-ভেন্ট স্লুইসগেটের ওপর ১৪টি এবং ৯-ভেন্ট স্লুইসগেটের ওপর পাঁচটি সেচযন্ত্র দিয়ে সেচ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ভবদহ অঞ্চল থেকে ৪ দশমিক ৪ ফুট পানি নেমেছে। কয়েকটি বড় বিল ছাড়া অবশিষ্ট বিলগুলোতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।

জলাবদ্ধতায় বোরো চাষ ভবদহ অঞ্চলে হেক্টর জমিতে ৮ হাজার
Follow on Facebook
Share. Facebook Twitter WhatsApp Copy Link

Related Posts

ফ্রান্স থেকে শিকড়ের সন্ধানে ফেরা তেহজিবের হৃদয়ে ‘চম্পাবতীর পালা’

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

জমজমাট গদখালীর ফুলবাজার, দুই দিবসে দুই কোটি টাকার ফুল বেঁচাকেনা

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, রাজাকারের আস্ফালন দেখার জন্য নয়- যশোরে মেঘমল্লার বসু

ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন

উপদেষ্টা সম্পাদক : হারুন অর রশীদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মেজর (অব.) এবিএম আমিনুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ডিডি এনএসআই (অব.) মুফাজ্জেল হোসেন

নির্বাহী সম্পাদক : সৈয়দা নাজমুন নাহার শশী

প্রকাশক কর্তৃক মান্নান প্রিন্টিং প্রেস এর তত্ত্বাবধানে সম্পাদকীয় কার্যালয় ডি-৩০ নতুন উপশহর এবং বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৯ মুজিব সড়ক, যশোর থেকে প্রকাশিত।

মোবাইল: ০১৯০১-৪৬০৫১০-১৯ | ফোন: ০২৪৭৮৮৫১৩৮৬

ই-মেইল: banglarbhorenews@gmail.com

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.