বাংলার ভোর প্রতিবেদক
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা নেতা, দেশপ্রেমিক সেনানায়ক এবং দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক। জেড ফোর্সের প্রধান হিসেবে তিনিই একমাত্র ফোর্স প্রধান যিনি দেশের ভিতরে থেকে মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তার স্বাধীনতার ঘোষণা গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উজ্জীবিত করেছিল। যুদ্ধকালীন সময়ে তার বীরত্ব ও দূরদর্শিতা মুক্তিযুদ্ধে জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত এ কথা বলেন। রোববার বিকেলে যশোর বিডি হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা বিএনপি আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরো বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান গ্রামীণ অর্থনীতি সক্রিয় করার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন।
রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রচলন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ এবং কৃষি, শিল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপ আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তোলে। তার ১৯ দফা কর্মসূচি জাতীয় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করেছিল। তিনি বলেন জিয়াউর রহমান ছিলেন মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার বলিষ্ঠ আওয়াজের একজন অগ্রদূত। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে নিরলস কাজ করে গেছেন। তার সময়ে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নতি জাতির অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, দেশের সকল সংকটে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে বিএনপি। বর্তমানে দেশের যে সংকট চলছে এ সমাধানে বিএনপি পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। মুখে বলে লাভ নেই দেশের উন্নয়নে এ যাবতকালে যে সংস্কার হয়েছে তা বিএনপির অবদান। তাই মুখে সংস্কারের কথা বলে লাভ নেই তা বাস্তবায়ন করতে হলে বিএনপিকে প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আগামীর রাজনীতি হবে মেধাভিত্তিক, যেখানে রাষ্ট্র ও সমাজ নতুনভাবে সংগঠিত হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের ভূমিকা অতুলনীয়। আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু ও মেধাভিত্তিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মিজানুর রহমান খান, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য মুনির আহমেদ সিদ্দিকি বাচ্চু।