এম আই মুকুল, জীবননগর
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ফুলকপি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা।
অল্প সময়ে অধিক লাভের জন্য অনেকেই করেছেন ফুলকপি চাষ। বর্তমান বাজারে ফুলকপির ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে শীতকালীন বিভিন্ন সবজিতে মাঠ ভরে গেছে।
এ বছর ব্যপকভাবে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে।
বিশেষ করে ফুলকপি চাষ উল্লেখযোগ্য হরে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে চাষিরা ফুলকপি বাজারজাত করছেন। তাদের উৎপাদিত ফুলকপি বিভিন্ন যানবাহন বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কেউ কিছু কিছু করে ফুলকপি বাজারে বিক্রি করছেন।
কেউ আবার চুক্তিভিত্তিতে ব্যাপারিদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন।
অনেকেই সাথী ফসল হিসেবে ফুল কপি চাষ করে বাড়তি আয়ের সুবিধা পাচ্ছেন।
বর্তমানে বাজারে এক হাজার থেকে বারশ; টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি যা খুচরা পর্যায়ে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার উথলী গ্রামের ফুলকপি চাষি শামিম হোসাইন বলেন, গতবছর সাফল্য পাওয়ার পর এবার ১ বিঘা জমিতে নিনজা জাতের ফুলকপি চাষ করেছি।
সবকিছু মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
জমির সব ফুলকপি একবারে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।
খরচ বাদে আড়াই মাসে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
হাসাদহ গ্রামের মুনতাজ আলী নামের আরেক চাষি জানান, এবার কচু চাষ করে অনেক লোকসান হয়েছে। কচু উঠিয়ে সেই জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি।
আল্লাহর রহমতে ফলন অনেক ভালো হয়েছে তাছাড়াও এবার ফুলকপির বাজারও ভালো।
এখন বাজারে ফুলকপি পাইকারি ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।
এক বিঘা জমিতে প্রায় ১শ’ মণ কপি উৎপাদন হচ্ছে। এমন বাজার থাকলে লাভের মুখ দেখতে পারবো।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাই কম হওয়ার কারণে উপজেলায় সকল শীতকালীন সবজি অনেক ভালো হয়েছে।
ফুলকপি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ও কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।
এ বছরে এ উপজেলায় মোট ২৫৬ একর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে।
