জীবননগর সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নামতে শুরু করেছে কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল। নভেম্বরের শুরু থেকেই জীবননগর শহর ও আশপাশের ইউনিয়নের গ্রামগুলোর চারপাশ মোড়ানো থাকছে ঘন কুয়াশার চাদরে। এই কুয়াশাময় সকাল যেন জানিয়ে দিয়েছে, আসছে শীত, আসছে স্নিগ্ধতার মৌসুম।
শীতের এমন আগমনী ছোঁয়ায় বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ। কুয়াশাঢাকা সকাল জানিয়ে দিচ্ছে, শীত আর বেশি দূরে নয়। এ দিন ভোরের আলো ফুটলেও মহাসড়কে যানবাহনগুলোকে চলতে দেখা যায় হেডলাইট জ্বালিয়ে। কুয়াশা ভেদ করে গন্তব্যের পথে ছুটে যেতে।
এদিকে গ্রামের মাঠে শিশিরভেজা ঘাসে খেলায় মত্ত শিশুরা যেন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠে। মাকড়সার জালে ঝুলে থাকা শিশিরবিন্দু আর ধূসর আকাশে সূর্যের টিপটিপ আলো মিলেমিশে সৃষ্টি করে এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে মাঠে ফুটবল খেলতে দেখা গেছে তরুণদের।
সকালে কাজের সন্ধানে আসা শ্রমিক রহমান বলেন, এ মাসের শুরুতেই সত্যিকারের শীত টের পেলাম। এখন থেকে হয়তো শীত বাড়বে। তবে শীতের মধ্যে কাজ করা আমাদের জন্য একটু কষ্টসাধ্য।
ভ্যানচালক রবিউল জানান, সংসারের তাগিদে ভোর বেলায় ভ্যান নিয়ে বাইরে বের হতে হয়। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তাঘাট থাকায় চলাচলে একটু কষ্ট হয়। তারপরও কিছু করার নেই জীবিকা তাগিদে সকালে বের হতেই হবে।
তবে কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে দেখা গেছে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের। প্রচণ্ড কুয়াশাচ্ছন্ন সকালবেলা কেউ বাবা-মার হাত ধরে অথবা কেউ সাইকেল চালিয়ে ছুটছে স্কুলের দিকে। তবে স্কুল ছাত্র রাকিব বলেন, কুয়াশা বেশি থাকলেও শীত কম। এজন্য তাদের স্কুলে যেতে সমস্যা হচ্ছে না। তবে সামনের দিনে কুয়াশা সেই সাথে শীতের তীব্রতা বাড়লে শীতের পোশাক পরেই স্কুলে যেতে হবে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অফিস জানান, নভেম্বরের শুরুর দিকে কুয়াশা বাড়লেও শীতের তীব্রতা কম। তবে যত দিন যাবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
