বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বায়শা গ্রামে ভ্যানচালক মাসুদ হত্যায় আটক মামুন শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মামুন ও আলী হাসান দুই জনে মিলে মাসুদকে হত্যা করেছেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা আসামি মামুনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামুন শার্শা উপজেলার যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিকরগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ। আটক ছিনতাইকৃত ভ্যান বিক্রির দায়িত্ব ছিলো এর আগে আটক আলী হাসানের। ১৭ হাজার টাকায় ভ্যান বিক্রি করেন আলী হাসান। কিন্তু ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন বলে মামুনকে মিথ্যা বলেছিলেন আলী হাসান। এর মধ্যে ২ হাজার টাকা ভ্যানবহনসহ অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হয়েছে বলে জানিয়ে বাকি ৭ হাজার টাকার মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার টাকা মামুনকে দিয়েছিলেন আলী হাসান।
শার্শা উপজেলার উলাশী খালপাড় এলাকার আজিজ খানের ছেলে মাসুদ ভ্যান চালানোর উদ্দেশ্যে গত ৬ অক্টোবর সকালে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফিরে না আসায় ৭ অক্টোবর মাসুদের পিতা আজিজ খান শার্শা থানায় একটি জিডি করেন। গত ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝিকরগাছা থানার পুলিশ উপজেলার বায়শা গ্রামের প্রবাসী রবিউল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির রান্না ঘর থেকে মাসুদের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আজিজ খান ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলী হোসেন নামে একজনকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া থেকে ছিনতাইকৃত ভ্যান উদ্ধার এবং ভ্যান ক্রয়ের অভিযোগে আরো দুই জনকে আটক করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে মাসুদ হত্যায় জড়িত মামুনকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে আটক করে পুলিশ।

