ঝিকরগাছা প্রতিনিধি
শীত উপেক্ষা করে ভক্তদের আগমনে যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীর কালীমন্দিরে তিন দিনব্যাপি পৌষ মেলা জমে উঠেছেছে। মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মেলাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বী পূণ্যার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। গতকাল শুরু হওয়া মেলা শেষ হবে আগামী শনিবার।
গতকাল দুপুরে মেলায় যশোরের বাসিন্দা বিথীকা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ মেলায় আসছি। সকল অশুভ নাশের জন্য মায়ের মন্দিরে প্রার্থনা করেছি। অপর এক দর্শনার্থী গায়েত্রী বলেন, দুই যুগের বেশি সময় ধরে এ মেলায় আসছি। নিজের শান্তি ও সুখের সাথে সাথে দেশ ও দশের জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি।
মেলায় প্রসাধনী বিক্রেতা রফিকুল বলেন, মেলায় প্রচুর লোক, তবে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেচাকেনা তুলনামুলক ভালো হচ্ছে না। সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে আসা মিষ্টি দোকানি রনজিত কুমার বলেন, লোকজন বেশি হওয়ায় বিক্রিও অনেক বেশি হচ্ছে। বেচাবিক্রিতে আমরা খুশি।
কেশবপুরের খেলনা বিক্রেতা কিষ্ট বিশ্বাস বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় মেলায় এসে প্রসাধনী নিয়ে বসার জায়গা পাইনি। একদিন আগেই সব জায়গা দখল হয়ে গেছে।
স্থানীয় প্রবীণরা জানান, ১৪৬২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে এ কালী মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েকশ’ বছর ধরে মন্দিরটিকে ঘিরে পালিত হয়ে আসছে পৌষমেলা। দেশের ও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের হাজার হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের ভক্তের মিলনমেলায় পরিণত হয় এ মেলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই ধর্মের দুজনের প্রেম প্রণয়ের সূত্র ধরে রডারিক উপাসনার জন্য খ্রিষ্টানদের গড ও হিন্দুদের দেবী কালীকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিষ্ঠা করেন কালী মন্দিরটি। যা পরবর্তী কাল থেকে গদখালী কালী মন্দির নামে পরিচিতি পায়।
মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র ভক্ত বাবুল বলেন, প্রতি বছর পৌষ মাসের অমাবশ্যা তিথিতে তিন দিনের এ মেলা বসে। মেলাকে ঘিরে এলাকার সব সম্প্রদায়ের মধ্যে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে।
শিরোনাম:
- ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ জাবেরের পরিবারের পাশে যশোরের ডিসি
- ঝিকরগাছায় চাল লুট : বিএনপির ২ নেতাসহ ২১ জনকে অব্যাহতি
- কোটচাঁদপুরে বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
- তালায় খাল ও জলমহাল উন্মুক্তের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
- ‘দেশের মানুষের মুখে হাঁসি ফোটাতে ইসলামী আইন কায়েম করতে হবে’
- কেশবপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি আশরাফ স¤পাদক ফুয়াদ
- মহেশপুরে তিন রোহিঙ্গা নারীসহ আটক ১৭
- অচিরেই কোল্ডস্টোর নির্মাণের আশ্বাস