নিজস্ব প্রতিবেদক, ডুমুরিয়া
সড়কের স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে ডুমুরিয়া উপজেলার আড়ংঘাটা থানার রায়েরমহল বাইপাস সড়ক হতে কৈয়াবাজার পর্যন্ত সড়কে ভারি যানবাহন চলাচল রোধে বসানো লোহার ব্যারিকেড খুলে নিয়েছে দুস্কৃতকারীরা।
প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি দু প্রান্তে এ লোহার বার বসানো হয়েছিল।
এতে করে সড়কটি আবারো ঝুঁকিতে পড়েছে।
খুলনা এলজিইডি’র সদ্য সংস্কার করা বাইপাস সড়কের রায়ের মহল মোড় থেকে কৈয়া বাজার অভিমুখে ৬ কিলোমিটার সড়কটির বাইপাস মোড় থেকে রাজবাঁধ কালভার্ট পর্যন্ত ডুমুরিয়া উপজেলার অংশে ৩.৮ কিলোমিটার।
সেখান থেকে কৈয়া বাজার পর্যন্ত বটিয়াঘাটা উপজেলার অংশে ২.১ কিলোমিটার।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে “ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন” প্রকল্পের আওতায় মোস্তফার মোড় থেকে ৩.২ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে চুক্তি মূল্য ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৬ টাকা।
সড়কটি এলজিইডির কাছে হস্তান্তরের পূর্বেই ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কটি সংস্কার করে।
সড়কটিতে যাতে ভারি যানবাহন বিশেষ করে ১২ ফুট উচ্চতার ১০ চাকার মাটি ও বালিবাহি ট্রাক চলতে না পারে এজন্য ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুই প্রান্তে সাড়ে ৭ ফুট উচ্চতার মজবুত লোহার বার দেয়া হয়। বাইপাস প্রান্তের উপরের বারটি দুষ্কৃতিকারিরা খুলে নিয়েছে।
এর ফলে বাইপাস প্রান্ত থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক বালি নিয়ে পূর্ব বিল পাবলা মাদ্রাসার কাছে ফেলে স্থায়ী বালি পার্কিং স্পট বা অবৈধ বালুমহাল তৈরি করে অবৈধ প্লট ব্যবসায়ীরা কৃষি জমি ও জলাশয় ভরাট করছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ দারুল হুদা জানান, প্লট ব্যবসায়ীরা বাইপাস প্রান্তের বারটি খুলে ফেলেছেন।
তিনি বলেন, সড়কটি ১৫ টন ওজনের মালবাহি যানবাহনের ভার সহ্য করতে পারে।
সেখানে মাটি-বালিবাহি ১০ চাকার ট্রাকে ৫০ থেকে ৬০ টন পণ্য পরিবহন করছে।
এতে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এলজিইডি খুলনার নির্বাহি প্রকৌশলী কামরুল ইসরাম সরদার জানান, আমরা সড়ক রক্ষায় দুই প্রান্তে লোহার বার স্থাপন করেছিলাম কিন্তু প্রভাবশালী জমি ব্যবসায়ীরা সেটি খুলে ফেলেছে।
বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, সড়ক রক্ষায় এলজিইডির পক্ষ থেকে দুই প্রান্তে বার স্থাপন করতে গেলে বাধার সম্মুখিন হই।
পরে স্থাপন করা হলেও সেটি আর সেখানে নেই।
তিনি বলেন, বালি দিয়ে কৃষি জমি ও জলাশয় ভরাট করা বেআইনী।
এসব কাজে যারা যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

