বাংলার ভোর প্রতিবেদক

ঈদের আগে বেড়াতে এসে সৎমায়ের হাতে খুন হয়েছে শিশু জোনাকি। লাশ উদ্ধারের ১০ ঘন্টা পর হত্যার দায় শিকার করেছে সৎমা নার্গিস বেগম। এরপর তাকে ঘটনাস্থল নিয়ে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখেছে পুলিশ।

‘ঘাতক’ নার্গিস জানিয়েছেন, স্বামী শাহীন তিন তিনবার তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছে। এই ক্ষোভে তিনি জোনাকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। নিহত জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকে জোনাকির (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। মৃতের মুখ, হাতে, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিলো। এ ঘটনায় ওই মেয়েটির সৎমাকে হেফাজতে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে প্রায় ১০ ঘন্টা পর হত্যার দায় শিকার করে নেয় জোনাকির সৎমা নার্গিস বেগম।

এরপর রাত ১০টার দিকে নার্গিস বেগমকে ঘটনাস্থল তার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। এ সময় জোনাকির কাপড় ও জুতা উদ্ধার করা হয়।

যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, নার্গিস বেগম জানিয়েছে তার স্বামী গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছে। যে কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। জোনাকি বেড়াতে আসার পর তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। বাড়ির সবাই যখন জোনাকিকে না পেয়ে থানায় জিডি করতে যায় সেই সুযোগে লাশ নিয়ে পুকুরে ফেলে আসেন।

যশোর কোতোয়ালি ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সোমবার বেলা ১০টার দিকে নিখোঁজ হয় জোনাকি। ঘটনার দিন রাতেই যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় নিখোঁজের জিডি করে শিশুটির পরিবার। মঙ্গলবার শিশুটির বাবা ও সৎমায়ের বাসার পিছনের ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version