দৈনিক বাংলার ভোর আজ পা দিলো তিন বছরে। তিন বছরের এই পথচলার শুরুতে আজ আমরা মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। স্মরণ করছি পত্রিকাটির স্বপ্নদ্রষ্টা মরহুম সৈয়দ নজমুল হোসেনকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি বাংলার ভোর’র অগণিত পাঠক, শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের। আরও স্মরণ করছি সেই সব সহকর্মীদের যারা আমাদের গৌরবময় পথচলায় সারথী হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দুটি বছর একটি দৈনিক পত্রিকার প্রকাশনা চালিয়ে যাওয়া বড় একটি যুদ্ধ জয়ের মতই। শুরু থেকেই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকা পত্রিকাটির পথচলা মসৃণ ছিল না। নানা কুটিলতা জটিলতা অবহেলা সহ্য করেও থেমে থাকিনি আমরা। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা ছাড়া বর্তমানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা অসম্ভব একটি কাজ। তারপরও এদেশে অধিকাংশ সংবাদপত্রের মতই আমরাও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে প্রকাশনা টিকিয়ে রেখেছি। বর্তমানে এই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্স)’র যুগে বিশ্ব প্রতি মুহূর্তে এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্রগুলো নিজের ধরে রাখতে জোর দিচ্ছে অনলাইনের দিকে। সেই সাথে পাঠকও ঝুঁকছে ছাপা সংস্করণের থেকে ভার্চুয়াল সংস্করণের দিকে। এই প্রেক্ষাপটে পত্রিকার মান ঠিক রেখে প্রকাশনা অব্যাহত রাখা যেন হিমালয় জয় করার মত বড় চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থায় কর্মীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করে পত্রিকা প্রকাশ ব্যয়বহুল। এতদসত্ত্বেও পাঠকের স্বার্থ চিন্তায়ই থাকে কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকার তালিকায়। আর তাই ত আমরা প্রতিদিন ভোরে আমাদের পাঠক শুভানুধ্যায়ীদের হাতে পৌঁছে দিয়েছি নিয়মিতভাবে বাংলার ভোর। যাতে করে দিনের শুরুতে পাঠক বিগত দিনটির একটি পরিপূর্ণ রূপ অবলোকন করতে পারেন। এভাবে বিগত দিনগুলোর মত আগামী দিনেও আমরা পাঠকের সাথে থাকতে চাই। সমাজের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে সাহসী কণ্ঠে বলতে চাই। আর এই চলার পথে আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন এই আশা করি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সহায় হোন।
লেখক : প্রকাশক
দৈনিক বাংলার ভোর
