মাগুরা সংবাদদাতা
নেশার টাকা জোগাড় এবং বান্ধবীকে নিয়ে ফুর্তির উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তায়হান ইসলাম আমান (২১) তার বন্ধু তীর্থকে গলা কেটে হত্যা করে।
তীর্থকে হত্যার লক্ষ্যে ১ জুলাই সকালে স্থানীয় একটি দোকান থেকে তার মামা মিঠুর নাম করে ৪০০ টাকা দিয়ে একটি প্যাথেড্রিন ইনজেকশন এবং শহরের সততা স্টোর থেকে একটি দা কেনে। সেই দা দিয়েই তীর্থকে একাই হত্যা করে আমান।
শুক্রবার (৫ জুলাই) মাগুরা সদরের শত্রুজিতপুর এলাকা থেকে আটকের পর এভাবেই স্বীকারোক্তি দেয় হত্যাকারী আমান।
আমান মাগুরা শহরের ঋষিপাড়ার জিয়াউর রহমান জিবলুর ছেলে। মাগুরা আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থী আমান ও খুন হওয়া তীর্থ এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
সোমবার রাতে হত্যার পর বাড়ি ফিরে সকালে পরীক্ষায় অংশ নেয় আমান। পরীক্ষা শেষে আমান তার বান্ধবীকে নিয়ে তীর্থেরই বাইকে চড়ে বড়বিলা এলাকায় সময় কাটায়। দুপুরের পর মাগুরা পৌর এলাকার কাশিনাথপুর পূর্বপাড়ায় খালার বাড়িতে গিয়ে রান্নাঘরে বাইকটি লুকিয়ে রেখে ফিরে আসে শহরে।
ঘটনার পর পুলিশের জেরায় আমান হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তৌফিক আনাম। পুলিশ আমানের দেয়া তথ্যে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে নিহত তীর্থ রুদ্রের খোয়া যাওয়া মোটরসাইকেলটি মাগুরা থানার কাশিনাথপুরে অবস্থিত আমানের খালার বাসা থেকে উদ্ধার এবং আমানের বাসা থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং মোটরসাইকেলের চাবি, হত্যাকাণ্ডের সময় হত্যাকারীর পরিহিত প্যান্ট ও টিশার্ট জব্দ করেছে। হত্যাকারী আমান হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। এই হত্যাকাণ্ডে সে একাই জড়িত বলে আদালতে স্বীকার করেছে। মূলত আসামি আমান তার বন্ধুর মোটরসাইকেল এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল বলেন, ‘আমানকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং ভিকটিমের মোটরসাইকেল ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।’