এস এম জালাল
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচনের সম্ভাবনা সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন। যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান। তিনি নিয়মিত এলাকায় গণসংযোগ, সামাজিক, মানবিক ও ধর্মীয় নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। ভোটারদের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। আন্দোলন সংগ্রাম ও সংকটকালে সাধারণ নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে পাশে ছিলেন। চৌগাছা ও ঝিকরগাছা উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থাও অর্জন করেছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মিজানুর রহমান খান যশোর জেলার সকল আন্দোলন সংগ্রামে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিগত দিনে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১৬টি মামলার আসামি হয়েচেন। ২০১৫ সালে আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও বাসগৃহে হামলা ও ভাংচুর শিকার হয়েছেন। তারপরও সব সময় নিজেকে জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার শপথে দৃপ্ত পথে হেঁটে চলেছেন। ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভোটের অধিকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে চলেছেন। যার ফলে অগণিতবার হামলা-মামলা-মোকাদ্দমাসহ নানাভাবে পুলিশি হয়রানি, একবাধিকবার নিজ বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-অগ্নিসংযোগের পরেও রাজপথের আন্দোলনে সর্বাত্মক সচেষ্ট ছিলেন।
তিনি বলেন, তারুণ্যের অহংকার আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান প্রদত্ত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। যশোর জেলা বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে রাজপথে ছিলাম, আছি থাকবো। গত ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। পরাজিত হয়েছি। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হার-জিত থাকে। দলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচন হয়েছে। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সাথে হাসিমুখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। সুসম্পর্ক অব্যাহত রেখেছি। জেলার বিএনপি পরিবার এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীরা যে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা দেখিয়েছেন, পরিশ্রম করেছেন তা আগামীর পথচলাকে উৎসাহিত করেছে। আমৃত্যু সুখে-দুঃখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলের নেতাকর্মীদের পাশে থাকবো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনের দেশনায়ক তারেক রহমানের বার্তা পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিনিধি সভায় অংশ নিচ্ছি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ তৃণমূলে পৌঁছে দিতে কাজ করছি।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের সময় সরকার বিরোধী আন্দোলনের লড়াই সংগ্রামে সম্মুখে ছিলাম আমাদের নেতা, তারুণ্যের অহংকার, যশোর গড়ার কারিগর তরিকুল ইসলামের সুযোগ্য উত্তরসূরী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে আমরা রাজপথে থেকেছি। হৃদয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে শতভাগ লালন করি।
তিনি আশা করেন, অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন সময় ঐক্যের। সকল বিভেদ ভুলে সবাই এক সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনাই এখন একমাত্র লক্ষ্য।
মিজানুর রহমান খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। তার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছি। আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আগামি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো বলে আশাবাদী।
ছাত্রদলের রাজনীতি দিয়েই রাজনীতির শুরু করেন মিজানুর রহমান খান। প্রায় ৫ দশকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে নানা চড়াই উৎরায় পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন। ১৯৭৯ সালে ছাত্রদলে যোগদান করেন। মিজানুর রহমান খান সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজে স্কাউট লিডার হিসেবে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উলশী খাল খনন প্রকল্পে অংশগ্রহণ ও টিমকে চ্যাম্পিয়ন করেন। স্কাউট লিভার হিসাবে তৎকালীন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে খাল খননের কৃতিত্বের সম্মাননা পুরস্কার গ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। জিয়া পরিষদ যশোর জেলা কমিটির নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন ‘জাসাস’ যশোর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি। বিএনপির যশোর জেলা কমিটি সাবেক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছেন। রোটারি ক্লাব অব যশোর ইস্ট’র সাবেক সভাপতি ছিলেন। সদর উপজেলার উপশহর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও ১৯৯৯ সালে বৃক্ষরোপণের জন্য সেরা চেয়ারম্যান হিসেবে জাতীয় পদকপ্রাপ্ত হন। উপশহর বাদশাহ ফয়সাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও উপশহর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার টেবিল টেনিস পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ২০১০-২০১১ অর্থ বছরে যশোর জেলার সেরা করদাতা পদকপ্রাপ্ত ও সিআইপি নির্বাচিত হন।
শিরোনাম:
- রমজানে শাহী জিলাপি বিক্রি জমজমাট
- ঝিকরগাছায় ছিন্নমূল নারী-পুরুষের পাশে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন
- মণিরামপুরে টিসিবি কার্ড নিয়ে তুলকালাম, বঞ্চিতদের মহাসড়ক অবরোধ
- যশোর-২ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ডা. ফরিদের মতবিনিময়
- শহিদ চারুবালা করের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি
- যশোরে গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা উদ্বোধন
- নেতাকর্মীদের নিঃস্বার্থ ভালবাসা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে : মিজান খান
- যশোরে সুলভ মূল্যে পোল্ট্রি মুরগি ও ডিম বিক্রি কার্যক্রম শুরু