পাইকগাছা সংবাদদাতা
দক্ষিণ জনপদের জীবনচিত্রকে সেলুলয়ের পর্দায় ফুটিয়ে তোলার পাশাপাশি দুর্যোগ ভাঙনে কবলিত পাইকগাছার ‘দেলুটি’ গ্রামের চিত্রকে সকলের মাঝে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দেলুপি’ শুভ মুক্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনার পাইকগাছায় প্রথম প্রদর্শনেই দর্শক-শ্রোতার মন জয় করেছে চলচ্চিত্রটি।
বুধবার বিকেলে উপজেলার দ্বীপবেষ্টিত দেলুটি’র দারুনমল্লিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সিনেমাটি’র শুভ মুক্তি অনুষ্ঠান হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাটি খুলনায় ৭ ও ১৪ নভেম্বর সারাদেশে মুক্তি পাবে। পরে পাইকগাছা, দাকোপ,বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করা হবে।
‘দেলুপি’ চলচ্চিত্রটি’ এসেছে মূলত দেলুটির নামে। ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকস প্রযোজিত ১ ঘন্টা ৩৭ মিনিটের সিনেমায় মূলত দক্ষিণ বাংলার গ্রামীণ জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে নদী ভাঙন, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, জরাজীর্ণ রাস্তাঘাট, রাজনৈতিক টানাপোড়েন, প্রেম-সম্পর্ক, সামাজিক বাঁধা বিপত্তি ও শিল্প সংগ্রামের মতো নানা বাস্তবতা উপস্থাপিত হয়েছে। চলচ্চিত্রে গ্রামীণ সাদামাঠা জীবন যাপন ও পরিবর্তন, মাটিতে বসবাস, নদীর ধারে চলাফেরা ইত্যাদি রয়েছে।
ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’ ফনি’র মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদী ভাঙনে দেলুটির ২২ নম্বর পোল্ডারের একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় জনপদের মানুষ দাবি তোলেন ‘আমরা ত্রাণ চাইনা, শুধু টেকসই ভেড়িবাঁধ চাই” সেই বাস্তব অভিজ্ঞতাকে সেলুলয়ের পর্দায় পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম ও সহকারী পরিচালক সায়মা নাসরিন ফুটিয়ে তুলেছেন। যার ‘মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায় ও জাকির হোসেনসহ স্থানীয় যাত্রা শিল্পী ও মঞ্চ শিল্পীরা।
পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম মানুষের সঙ্গে তাদের জীবনের অংশ হয়ে গল্পটি বলতে চেয়েছেন।
সিনেমার চিত্রনাট্য নির্বাহী প্রযোজক ও নির্দেশক অমিত রুদ্র বলছেন, মানুষ সিনেমার মাধ্যমে নিজেকে ধরে রাখতে পারে যা কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে।
স্থানীয়রা বলছেন, এ ছবিটি আমাদের জন্য নিজের গ্রামের গল্প হতে পারে। হয়তো আমার বা পাশের গ্রামের এটি স্থানীয় শিল্প হলেও এর অনুভূতি সার্বজনীন হবে।
