সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে দেশব্যাপি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার অংশ হিসেবে সাতক্ষীরায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে হওয়া অনুষ্ঠান ভণ্ডুল হয়েছে। ছাত্রদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে সভা করতে পারেনি সমন্বয়করা। সোমবার বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলার অন্যতম সমম্বয়ক নাজমুল হোসেন রনি জানান, শিল্পকলা একাডেমিতে বিকেলে ওয়াহিদুজ্জামান, আকরাম হোসেন রাজসহ কেন্দ্রীয় সমম্বয়কদের সাথে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বৈঠক চলছিল। মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, কেন্দ্রীয় সমম্বয়ক আকরাম হোসেন রাজ। এ সময় জয় ও সান নামের দু’জন ছাত্র অডিটরিয়ামে বসা নিয়ে হৈ চৈ শুরু করে। এমনকি তারা মঞ্চে তেড়ে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বাইরে চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন সান। এসব হট্টগোলের মধ্যে বক্তব্য শেষ করেন রাজ।
আরেক সমম্বয়ক ইমরান হোসেন বলেন, স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছেন ছাত্রলীগের অনুপ্রবেশকারীরা, এমন অভিযোগে ছাত্রদলের কর্মীরা ভুয়া-ভুয়া শ্লোগান দেয়। এ থেকে সভায় গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয়।
তবে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শেখ শরিফুজ্জামান সজীব ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন জানান, জয় ও সান নামে ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী নেই। ছাত্রদলের কর্মী বলে যাদের পরিচয় দেয়া হচ্ছে, এটা ষড়যন্ত্রমূলক। ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী ওই সভায় উপস্থিত ছিলেননা বলে জানান তারা।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, সাতক্ষীরার কয়েক সমম্বয়ককে বাদ দিয়ে অন্যান্যদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভা হয়েছে। তার জের ধরে শিল্পকলা একাডেমিতে হৈ-হট্টগোল হয়। ছাত্রদের এক পক্ষ মঞ্চে উঠে মাইক হাতে বলতে শুরু করেন, সাতক্ষীরায় আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে যারা সামনে থেকে আন্দোলন করছে, তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। তাই প্রোগ্রাম হতে দেয়া হবেনা। তাদেরকে প্রোগ্রাম বন্ধ করে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন তারা। এরপর থেকে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো অডিটরিয়াম। একে-অপরের সাথে হট্টগোলে জড়িয়ে পড়ে সভা পরে ভণ্ডুল হয়ে যায়। পরে অডিটরিয়ামের সামনে ছাত্রদের দু’গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।