দেবহাটা সংবাদদাতা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দেবহাটা উপজেলা ও থানা প্রশাসনসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরবিচ্ছিন্ন তৎপরতার চলছে। ইতিমধ্যে তুলির শেষ আঁচড়ে দেবীর আগমনী বার্তা জানান দিয়ে প্রতিমার মাটির কাজ শেষে রং তুলির আঁচড়ের কাজ শেষ। দেবীর আগমন ধ্বনি বেজে গিয়েছে আকাশে বাতাসে।
আজ ষষ্টীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গা পূজা। এবছর দেবী দুর্গার আগমন হবে দোলা বা পালকিতে। আর চলে যাবেন ঘোটক বা ঘোড়ায়। এবছর উপজেলার ২১ টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে যে ২১ টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা দূর্গাপূজা মন্ডপ, কুলিয়া ঘোষপাড়া দুর্গাপূজা মন্ডপ, শ্যামনগর পশ্চিমপাড়া দুর্গাপূজা মন্ডপ, বালিয়াডাঙ্গা দুর্গাপূজা মন্ডপ, হিজলডাঙ্গা দুর্গাপূজা মন্ডপ, শ্যামনগর পূর্বপাড়া দুর্গাপূজা মন্ডপ ও সুবর্নাবাদ দুর্গাপূজা মন্ডপ, পারুলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসখোলা সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্ডপ, উত্তর পারুলিয়া চারা বটতলা দুর্গাপূজা মন্ডপ, দক্ষিন পারুলিয়া জেলেপাড়া দুর্গাপূজা মন্ডপ, নোড়ারচক দুর্গাপূজা মন্ডপ, বড়শান্তা দুর্গাপূজা মন্ডপ, মাঝ পারুলিয়া দূর্গাপূজা মন্ডপ ও উত্তর কোমরপুর দূর্গাপূজা মন্ডপ, সখিপুর ইউনিয়নের পালপাড়া দুর্গাপূজা মন্ডপ, কোড়াঁ পাকড়াতলা দুর্গাপূজা মন্ডপ, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের গাজীরহাট দুর্গাপূজা মন্ডপ, দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ফুটবল মাঠ দুর্গাপূজা মন্ডপ, দেবহাটা বাজার দুর্গাপূজা মন্ডপ, টাউনশ্রীপুর দুর্গাপূজা মন্ডপ ও টাউনশ্রীপুর পালপাড়া দুর্গাপূজা মন্ডপ।
এবছর সরকারভিাবে যেভাবে নির্দেশনা দেয়া আছে সেভাবে পূজা উদযাপনের জন্য দেবহাটা উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ ইদ্রিসুর রহমান জানান, এ বছর দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আইনশ্খৃংলা বাহিনী সদা তৎপর। ইতিমধ্যে উপজেলার মধ্যে ৩/৪ টি মন্ডপে জনসমাগম বেশী হওয়ার জন্য সেখানে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া পুলিশ, আনসার, বিজিবিসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে পৃথক পৃথক টিম তৈরী করা হয়েছে। উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনার আলোকে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দকে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।