বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ধর্ষণ, ব্লাকমেইল ও মানহানি মামলার আসামি নাহিদ হাসান বাঁধনকে বাঁচানোর জন্য তার পরিবার ভুক্তভোগী তরুণীকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। মঙ্গলবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে ওই তরুণী অভিযোগ করেন, ১৬ বছর বয়সে স্কুলে পড়াকালীন নাহিদ হাসান বাঁধন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে। জোরপূর্বক চুম্বনের ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্লাকমেইল শুরু করে। পরবর্তীতে তাকে জেস গার্ডেন পার্ক সংলগ্ন একটি বাড়িতে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। বাঁধন তাকে বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে স্ত্রীর পরিচয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে। পরে আমি জানতে পারি বাঁধন এর মধ্যে চারটি বিয়ে করেছে।
বিষয়টি পরিবারকে জানালে দুই পক্ষের মধ্যে শালিস হয়। কিন্তু বাঁধনের পরিবার ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানায়। গত ১০ মে যশোর কোতয়ালী থানায় বাঁধনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর থেকে বাঁধনের পরিবার বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
মামলা প্রত্যাহার করা না হলে বাঁধনের ভগ্নিপতি বাদল মাহমুদ আমাকে খুন জখম করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। গত ১৩ মে বাঁধনের পরিবার প্রেসক্লাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
গত ১৩ মে সংবাদ সম্মেলনে বাঁধনের মা নাছিমা খানম দাবি করেন, ওই মেয়ে কলেজে পড়ার সময় আমার ছেলের সঙ্গে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই মেয়েটি একটি প্রতারক চক্রের সদস্য।
যারা সম্পর্ক তৈরি করে গোপনে ছবি ও ভিডিও ধারণের মাধ্যমে ব্লাকমেইল করে অর্থ আদায় করে থাকে।
একই কৌশল অবলম্বন করে তিশা তার ছেলে বাঁধনের কাছেও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। এই অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ছেলেকে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।