Close Menu
banglarbhore.com
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
Facebook X (Twitter) Instagram
শিরোনাম:
  • বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা জামায়াত নেতৃবৃন্দ
  • যশোরে সড়কে গেল যুবকের প্রাণ
  • যশোরের এসপির সাথে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময়
  • দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফেরাতে পারে বিএনপি : অমিত
  • শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস গভীর শ্রদ্ধায় যশোরে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ
  • যশোরে দুদকের জালে ক্ষমতার আবর্তে থাকা এমপি মন্ত্রী আমলারা
  • যশোরে বিজয় দিবসের উৎসবে গান আর নাচে মুখর টাউন হল ময়দান
  • বুদ্ধিজীবী দিবসে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা
Facebook X (Twitter) Instagram
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
banglarbhore.combanglarbhore.com
আকিজ ন্যাচারাল সরিষার তেল
সোমবার, ডিসেম্বর ১৫
  • হোম
  • দক্ষিণ-পশ্চিম
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • বিনোদন
  • খেলা
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • রান্না ঘর
  • স্বাস্থ্য
banglarbhore.com
দক্ষিণ-পশ্চিম

নড়াইলে শত বছরের পৌষ মেলায় উপচে পড়া ভিড়

banglarbhoreBy banglarbhoreজানুয়ারি ১৬, ২০২৪No Comments
Facebook Twitter WhatsApp
Share
Facebook Twitter LinkedIn

সৈয়দ রুবেল, নড়াইল
নড়াইলের হিজলডাঙ্গা গ্রামে প্রতি বছরের মত এবারও ঐতিহ্যবাহী শত বছরের পাগল চাঁদের মেলা হয়েছে। পৌষ মাসের শেষ দিনে অধিবাসের মধ্য দিয়ে বরাবরের মত এবারও সেখানে দূর দূরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার ভক্তদের নিজ নিজ ইচ্ছা পুরণে পাগলের মাজারে বাতাসা দিয়ে মানত করতে দেখা গেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের পাগলের ভক্তরা বিশ্বাস করে পাগলের মাজারে মানত করে পাগলরে সন্তুষ্ট করতে পারলে পাগল তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করে দেবে। স্থানীয়রা এ মেলাকে পাগলচাঁদের মেলা বলে অভিহিত করে থাকেন। আধ্যাত্মিক সাধু পাগল চাঁদ স্মরণে প্রায় একশ বছর ধরে এ মেলা চলে আসছে বলে জানালেন মেলা কমিটির সভাপতি স্বপন কুমার রায়।
নড়াইল শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে হিজলডাঙ্গার মেলা। দুপুর থেকেই মেলায় দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেন আর মেলা চলে গভীর রাত অবধি। হিজলডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুল মাঠের এই মেলায় হাজারো পসরা নিয়ে এসেছে দূর দূরান্তের লোকেরা। মেলায় প্রায় ২শ’ স্টল রয়েছে আর আছে খোলা দোকান।
মেলা কমিটি সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল থেকে এলাকার লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে আগত নারী, পুরুষ জড়ো হতে থাকেন একশ বছরের পুরানো গ্রামীণ পৌষ মেলায়। মেলায় বাহারি সব খাবার আর তৈজসপত্রের মিশেলে উৎসবে মেতে ওঠেন দর্শনার্থীরা। শিশু-কিশোরদের হই-হুল্লোড়ের পাশাপাশি সব বয়সী নারী-পুরুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় মেলা। শুরুতে এই মেলাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য হলেও বর্তমানে তা সব ধর্মের মানুষের উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রায় শত বছর ধরে চলে আসা এ মেলায় নানা রকম গ্রামীণ পণ্য পাওয়া যায়। নড়াইলসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রির জন্য। সন্ধ্যার মোমবাতি প্রজ্জ্বলন মেলার আকর্ষণকে আরো বেশি মোহনীয় করে তোলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শতবছরের এই পাগল চাঁদের মেলায় নানা বয়সী মানুষের পদচারণে মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছে। মৃৎশিল্পের পাশাপাশি বস্ত্রশিল্পেরও দেখা মেলে মেলায়। মাটির তৈরি নানা তৈজসপত্র উঠেছে এ মেলায়। এ ছাড়া বিভিন্ন স্টলে আধুনিক খেলনার সমাহারও দেখতে পাওয়া যায়। নাগরদোলায় ওঠার জন্য শিশুদের লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পান থেকে শুরু করে পিতলের বাসন আর বাঁশ-বেতের তৈরি ধামা, সের, পাইকে সনাতন সব দ্রব্যাদি মেলে এই মেলায়। বাহারী পান, পাপড়, তিলের খাজা, কদমা, টক-মিষ্টি আচার এবং বিভিন্ন রকমের মিষ্টান্ন কিনে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা যায় মেলায় আসা দর্শনার্থীদের।
জানা গেছে, ‘পাগল চাঁদ তিনি আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। সারাদিন দেখা নাই অথচ রাতে হঠাৎ কোন ভক্তের সামনে এসে হাজির হয়ে খাবার চাইতেন। কেউ কেউ সেধে তাকে খাওয়াতে পারত না আবার কোন বাড়িতে গিয়ে তিনি নিজে চেয়ে খেতেন। পাগল বাবা যাকে পছন্দ করতেন তার মনের ইচ্ছা ফলে যেত। তার বিচরণ ছিলো সর্বত্র। এই সাধু পুরুষ নড়াইলের মুলিয়া, শেখহাটি,ি হজলডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন আর ভক্তরা তার সেবা করার জন্য ব্যস্ত থাকতেন। মরার সময় হিজলডাঙ্গা গ্রামের এক ভক্তের বাড়িতে এসে শুয়ে বললেন, আমাকে আর ডাকিস না, সেই সময়ই তিনি মারা গেলেন। সেই থকে এই গ্রামে পাগল চাঁদের পুজা শুরু, তা থেকে মেলা।
মেলায় ঘুরতে আসা নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী মোহনা সাহা জানান, এবার প্রথম এ মেলায় এসেছি। মেলায় ঘুরে খুব আনন্দ লাগছে।
মেলায় আসা দর্শনার্থী বৃষ্টি বিশ্বাস বলেন, প্রতিবছর এই মেলায় আসি। মেলায় এসে প্রথমে পাগল চাঁদের মাজারে পুজা করে মানত করি। তারপর রাতভর মেলায় কেনাকাটা করি, গান বাজনা শুনি।
মেলায় আসা শুভ সরকার বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই মেলায় আসি। এ মেলা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এ মেলাতে এখন সব ধর্মের লোক আসে ।
মেলায় বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে এসে গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, মেলা থেকে অনেক কেনা-কাটা করলাম বাড়ির জন্য। এখন বন্ধুদের নিয়ে ঘুরছি।
মেলা কমিটির উপদেষ্টা মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ মেলার আয়োজন। পাগল চাঁদকে আধ্যাত্মিক সাধক মনে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখানে এসে থাকেন। পৌষ মেলায় আনন্দ পেতে অন্য ধর্মালম্বীদেরও আগমন ঘটে থাকে। স্বল্প খরচে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীদের স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ীদেরও উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে মেলায় অংশগ্রহণের জন্য।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, মেলায় আসা দর্শনার্থীরা আনন্দ বিনোদন শেষে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরতে পারে সে লক্ষ্যে মেলাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ করে নারীরা সম্মানের সঙ্গে মেলাস্থল ত্যাগ করতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

Follow on Facebook
Share. Facebook Twitter WhatsApp Copy Link

Related Posts

বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা জামায়াত নেতৃবৃন্দ

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫

যশোরে সড়কে গেল যুবকের প্রাণ

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫

যশোরের এসপির সাথে ব্যবসায়ীদের মতবিনিময়

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫

সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ আবুল কালাম শামছুদ্দীন

উপদেষ্টা সম্পাদক : হারুন অর রশীদ

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মেজর (অব.) এবিএম আমিনুল ইসলাম

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : ডিডি এনএসআই (অব.) মুফাজ্জেল হোসেন

নির্বাহী সম্পাদক : সৈয়দা নাজমুন নাহার শশী

প্রকাশক কর্তৃক মান্নান প্রিন্টিং প্রেস এর তত্ত্বাবধানে সম্পাদকীয় কার্যালয় ডি-৩০ নতুন উপশহর এবং বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৯ মুজিব সড়ক, যশোর থেকে প্রকাশিত।

মোবাইল: ০১৯০১-৪৬০৫১০-১৯ | ফোন: ০২৪৭৮৮৫১৩৮৬

ই-মেইল: banglarbhorenews@gmail.com

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.