বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ থেকে দিল্লি পর্যন্ত ১৪০০ মাইল হেঁটে ‘বিশ্ব বিবেক জাগরণ পদযাত্রা’ কর্মসূচির ডেপুটি লিডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম টুকু চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে যশোর শহরের পুলিশ লাইন কদমতলা নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে তিন মেয়েসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
দুই ছেলের মধ্যে যশোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল একজন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত ১৫ মে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম মস্তিকে রক্তক্ষরণের কারণে অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে যশোর কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম গোপালগঞ্জের মানিকদাহ গ্রামে ১৯৪৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশ থেকে দিল্লি পর্যন্ত ১৪০০ মাইল হেঁটে ‘বিশ্ব বিবেক জাগরণ পদযাত্রায়’অংশ নেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। ওই পদযাত্রার মধ্যে দিয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি আদায়, বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন দূতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়া, পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞের বর্ণনা তুলে ধরা হয়।
১৯৭১ সালের ১৪ অক্টোবর বনগ্রাম থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে পৌঁছে দলটি। সেখানে ঐতিহাসিক পলাশীর প্রান্তরের মাটি ছুঁয়ে স্বাধীনতার জন্য শপথ নেন দলের সদস্যরা। ওই দলের ডেপুটি লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম টুকু। এরপর দেশে ফিরে অস্ত্র হাতে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।