বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, অরাজকতা ও লুটতরাজের সরকার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
একতাবদ্ধ হতে হবে। নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়ার যে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে তা প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে কোন অরাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক তা কখনোই কাম্য হতে পারে না। শনিবার বিকেলে যশোর পৌরসভার ঘোপ ৩ নং ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় মাহমুদুর রহমান স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারী নেত্রী সাহিদা আক্তার।
সমাবেশে প্রধান অতিথি নারীদের উন্নয়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি বুঝেছিলেন নারীদের শিক্ষা বিস্তার লাভ করাতে না পারলে জাতির মুক্তি নেই।
এ কারণে নারীদের উন্নয়নে জিয়াউর রহমান তৈরি করেছিলেন নারী পুনর্বাসন কেন্দ্র, মহিলা সমিতি, জাতীয় মহিলা সংস্থাসহ নানাবিধ কর্মক্ষেত্র। যার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা সহজতর হয়েছিল। সে সময় ঘূর্ণায়মান ঋণ ব্যবস্থার কারণে দ্রুত নারীরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পেরেছিলেন।
প্রধান বক্তার বক্তৃতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে হাসিনা মুক্ত বাতাসে এখন আমরা নিঃশ্বাস নিতে পারছি। এজন্য যে প্রাণান্তকর চেষ্টা হয়েছে তার একক কোন কৃতিত্ব কারো নেই।
মাঠে ময়দানে একজন পুরুষ যেভাবে শারীরিক নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হয়েছে, দীর্ঘদিন ঘরছাড়া হয়েছে সেই পুরুষদেরকে রাতের আঁধারে শক্তি যুগিয়েছে একজন নারী। ফলে কোন অবস্থাতেই আমাদের মা-বোনেদের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। আগামীতে বিএনপি নির্বাচিত হলে নারী সমাজের ভাগ্য উন্নয়নে যা যা করা প্রয়োজন তা নিশ্চিত করা হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, যশোর নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরিচালনা করেন মহিলা দলের নেত্রী আনোয়ারা বেগম।