স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ

৩য় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যশোর সদর, বাঘারপাড়া ও অভয়নগরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামি ২৯ মে।

নির্বাচন উপলক্ষে ছাপাখানাগুলোতে বাড়েনি কর্মব্যস্থতা। ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে চলছে ছাপাখানার কাজ। অনেকটাই অলস সময় পার করছেন ছাপাখানার শ্রমিক কর্মচারীরা। ছাপাখানার মালিক শ্রমিকরা বলছেন, শহরে অনেকগুলো ছাপাখানা গড়ে উঠায় তাদের কাজ কমেছে। তাছাড়া এবারের নির্বাচন কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কাজ কম হওয়ার এটিও একটি বড় কারণ।

মঙ্গলবার বিকেলে যশোর শহরের বেশ কয়েকটি ছাপাখানা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ছাপাখানার নির্বাচনের পোস্টার, হ্যান্ডবিল, স্টিকার ও ব্যানার তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। সোমবার প্রতীক বরাদ্দ করা হলেও ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে অর্ডারের কাজ শেষ হওয়াতে মালিকরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন কি না সংশয়ে আছেন।

শহরের মাইকপট্টি ইমি প্রিন্টার্স এন্ড পেপারস্ এর মালিক এনামুল হক বলেন, আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম নির্বাচন নিয়ে আমাদের কাজ বাড়বে সেভাবে কাজ বাড়েনি। আমি ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১ জন চেয়ারম্যানের কাজ পেয়েছি।

কাজের সংখ্যাও খুব কম। শহরে ৬০ টি ছাপাখানা আছে। কাজ টুকটাক সবার ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এদিকে, কালি, কাগজের দাম বেড়েছে। কাজের পর যথাসময়ে প্রার্থীরা মূল্য পরিশোধ করে না। আমরা এক হাজার পোস্টারের প্রিন্টিং খরচ নিচ্ছি ৩শ’ টাকা। সব খরচ মিলিয়ে এক হাজার পোস্টার তৈরিতে ২৫শ’ টাকার মত খরচ পড়ে।

মামুন হোসেন নামে ছাপাখানায় কর্মরত এক ব্যক্তি বলেন, আমরা সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ছাপার কাজ করছি। এবারের ভোটে কাজ বাড়েনি। কাজের চাপ বাড়ে সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।

জামে মসজিদ লেনের ইসলাম প্রিন্টিং প্রেসে কর্মরত কাজল দাস বলেন, আশা অনুযায়ি কাজ বাড়েনি। রাত ১১ টা পর্যন্ত কাজ করা লাগছে। আগের চেয়ে এক ঘন্টা বেশি কাজ বেড়েছে। আমাদের যে মালের অর্ডার ছিলো সব কাজ শেষ। নতুন অর্ডার পেলে আবার কাজ শুরু হবে।

যশোর জেলা মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি সাব্বির মালিক বলেন, আমাদের যশোরে তালিকাভুক্ত ছাপাখানা আছে মোট ৯৬টি। নির্বাচনে যেহেতু এক দলের প্রার্থীদের মধ্যে হচ্ছে সে কারণে কাজ তেমন বাড়েনি। তবে মোটামুটি কাজ হচ্ছে।

মূলত ছাপাখানাগুলোতে নির্বাচনের সময় কাজ বাড়ে। এখানে নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত পোস্টার, হ্যান্ডবিল, স্টিকার ও ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করা হয়। নিজস্ব কারিগর দ্বারা ডিজাইন তৈরি করে তা প্রথমে টিনের তৈরি স্বচ্ছ প্লেটে প্রিন্ট করা হয়।

তারপর মুদ্রণ মেশিনের মাধ্যমে সাদা কাগজে প্রিন্ট করা হয়। অনেক সময় প্রিন্টিং করা পোস্টার, স্টিকারে উপরে লেমিনেটিং করে পলিথিনের প্রলেপ দেয়া হয়।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version