বাংলার ভোর প্রতিবেদক
নির্বাচনের আগে গণভোট এবং জুলাই সনদের আইনিভিত্তি নিশ্চিত করে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে যশোরে ইসলামপন্থী দুটি রাজনৈতিক দলের পৃথক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে শহরের সিভিল কোর্ট মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা শাখা।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট সম্ভব না। বাংলাদেশের মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারের এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হলেও, একটি পক্ষ আবার সেই ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হবে না। তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদ নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই সনদ যাতে বাস্তবায়ন না হয় সে জন্য প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের পরামর্শে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ অন্যায় ও জাতির সাথে প্রতারণার শামিল। আমরা দাবি করছি, সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও তামাশা বন্ধ করে জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে গণভোটের আয়োজন করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আবু জাফর সিদ্দীকী, সহকারী সেক্রেটারি গোলাম কুদ্দুস, মাওলানা রেজাউল করিম, প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস, অফিস সেক্রেটারি নূর-ই-আলা নূর মামুন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাড. গাজী এনামুল হক, শহর আমির অধ্যাপক শামসুজ্জামান, মণিরামপুর উপজেলা আমির অধ্যাপক ফজলুল হক, চৌগাছা উপজেলা আমির মাওলানা গোলাম মোরশেদ, যশোর-৩ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ভিপি আব্দুল কাদের প্রমুখ।
অপরদিকে, বিকেল ৪টায় শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখা।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মনোনীত যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা শোয়াইব হোসেন বলেন, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের ফলে নিবন্ধিত প্রায় প্রত্যেকটি দলের ভোটের আনুপাতিক হারে প্রতিনিধি জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন। যার ফলে দেশব্যাপি রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিভক্তি, বিভাজন, মারামারি, হানাহানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, অরাজকতা, হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ, হামলা-মামলা, লুটতরাজ, প্রতিহিংসার দানবীয় অপরাজনীতির অবসান হয়ে কাঙ্ক্ষিত শান্তিপূর্ণ প্রতিযোগিতার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। দেশের জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপন করবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা সভাপতি মিয়া মো. আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট নুর ইসলাম, এইচএম মহসিন, হাফেজ আব্দুর রশিদ, মাও. আশিক বিল্লাহ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জেলা সভাপতি মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ।
