পাইকগাছা সংবাদদাতা
“শহীদ করুণাময়ীর পথেই লড়বো, বাণিজ্যিক চিংড়ি চাষ বন্ধ করো ও কৃষি বাঁচাও এসব দাবিতে “নিজেরা করির” সমন্বয়কারী খুশি কবির বলেছেন, আমরা শোষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবো ও প্রতিবাদ করবো ও মানুষের জন্য জয় একদিন আনবোই।
শুক্রবার সকালে খুলনার পাইকগাছার দেলুটির ২২ নং পোল্ডারের হরিণখোলায় করুণাময়ী সরদারের ৩৫তম শহীদ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা ৭১’র মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের সাথে যেমন বেঈমানী করতে পারি না, তেমনি ৯০ এর দক্ষিণাঞ্চলে লবণপানির চিংড়ি চাষ বিরোধী আন্দোলনে শহীদ করুনাময়ী ও আহতদের সাথেও কোন বেঈমানী করব না। খুশি কবির আরো বলেন, দিন পাল্টায়, যুগ পাল্টায়, সেটার সাথে সাথে শোষণের পদ্ধতিও পাল্টায়। কিন্তু আমরা শোষনোর বিরুদ্ধে দাঁড়াবো ও প্রতিহত করব, প্রতিবাদ ও লড়াই করব। এভাবেই আমাদের সন্তান, পরবর্তী প্রজন্ম, দেশের মাটি ও মানুষের জন্য জয় একদিন আনবোই, আনবো।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল।
উর্মিলা সরদারের সভাপতিত্বে ও ভূমিহীন সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শহীদুল ইসলাম, আবু সাঈদ গাজী, ইতিকা মন্ডল, দিতি বৈরাগী, লতা মন্ডল, রাহেলা ও শেখ কবির হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নিজেরা করির কেন্দ্রীয় টিম সদস্য রেজানুর রহহমান, খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক পবিত্র চন্দ্র সরকার, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুকৃতি মোহন, ইউপি সদস্য পলাশ কান্তি রায়, বদিয়ার রহমানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
আলোচনা সভা শেষে নাটকসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, খুলনাঞ্চলে লবণপানির চিংড়ি চাষ বিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৯০ সালের ৭ নভেম্বর দেলুটির ২২ নং পোল্ডারের হরিণখোলায় প্রভাবশালী ঘের মালিক ওয়াজেদ আলী বিশ্বাসের ভাড়াটে সন্ত্রাসীর গুলিতে করুণাময়ী সরদার ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় আহত হন আরো অনেকেই।
সেই থেকে “নিজেরা করি “ও ভূমিহীন সংগঠন এ দিনটি পালন করে আসছে।
