রফিকুল ইসলাম খান, কপিলমুনি
আগামী ১৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাইকগাছা উপজেলা থেকে সাম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ইতিমধ্যে গণসংযোগ শুরু করেছেন।
খুলনার গুরুত্বপূর্ণ এই উপজেলাটি থেকে চেয়ারম্যান পদে অন্তত অর্ধডজন প্রার্থী নিজেদের অবস্থান জানান দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ার ঘোষণায় সরকার দলীয় একাধিক প্রার্থী বিজয়ের আশায় রীতিমত কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন।
প্রার্থীদের তালিকায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টুর পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম গাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে ই›িজনিয়ার গাজী মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ পদ মন্ডল। এছাড়া জামায়াত ইসলামী সমর্থিত প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলাম নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারনা চালাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যে আনন্দ মোহন বিশ্বাস দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি ব্যক্তি ইমেজে ভর করে প্রচার-প্রচারনা ও জনপ্রিয়তায় অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন। ছাত্রলীগের সাবেক এ কর্মী সাধারণ মানুষের কাছে সৎ, পরোপকারী, ও কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সর্বশেষ ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্যানুযায়ী মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯০৮জন। যার মধ্যে পুরুষ ১লাখ ২০হাজার ৮৯৫ জন ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১লাখ ১৮ হাজার ১৩ জন। যার একটা বড় অংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী।
রাজনৈতিক ভাবে আনন্দ মোহন বিশ্বাস বর্তমানে পাইকগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সামাজিক, শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
বর্তমানে তিনি পাইকগছা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সদস্য, লোকনাথ ব্রহ্মচারী শান্তি নিকেতনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, শ্রী শ্রী কপিলেশ্বরী কালী মন্দিরের সহ-সভাপতি, কাশিমনগর সার্ব্বজনীন পূজা মন্দির কমিটির সভাপতি, কাশিমনগর মহা নামযজ্ঞ কমিটির সভাপতি ও কপিলমুনি বেদ মন্দির কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আনন্দ মোহন বিশ্বাস বর্তমানে কপিলমুনি কলেজ পরিচালনা পরিষদ ও হরিঢালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আসন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আনন্দ মোহন বিশ্বাস বলেন, আমি ৩৬ বছর আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। চেষ্টা করেছি দলের সুদিনে দুর্দিনে দলের নেতা কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে। দলের নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ আমাকে আগামী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে ভোট ও সমর্থন দিবে বলে আশাবাদী।