বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, আমরা অপেক্ষমান একটি নতুন সূর্যোদয় একটি নতুন বাংলাদেশের জন্য। যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান দেখছেন। যে স্বপ্নের বীজ তিনি ১৮ কোটি জনগণের মাঝে বপণ করেছেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন এবং স্বার্থক করতে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীদের যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। রোববার বিকেলে দলীয় কার্র্যালয়ের সামনে দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনায় সভাপত্বি করেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত তার বক্তব্যের শুরুতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রাথমিক ধাপ অতিক্রমের মুহূর্তে দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠা পর থেকে মানুষের প্রতিটি সংকট, সম্ভাবনা, সংগ্রামে তাদের পাশে ছিল। বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজপথে যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, সেই আন্দোলন ভিন্ন মাত্রায় রূপ লাভ করেছিল দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে। ১৭ বছর পূর্বে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, ৫ আগস্টের পর আমরা ভেবেছি সেই আন্দোলন চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছেছে। অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলতে চাই, ৫ আগস্টের আগেও বিএনপি বিরোধী দলে ছিল, এখনো বিরোধী দলে আছে। ৫ আগস্টের আগেও আমরাও একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনগণের সরকারের জন্য প্রতিনিয়ত অপেক্ষা করেছি। ৫ আগস্টের পরও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র জনগণের কাক্সিক্ষত সরকারের জন্য লড়াই করছি, তার জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছি। আমাদের (দলীয় নেতাকর্মীদের) ৫ আগস্টের পর চাল চলন কথা বার্তায় পরিবর্তন এসেছে, যেটি আসবার কোন সুযোগ নেই। বিগত ১৭ বছর সীমাহীন নির্যাতন উপেক্ষা করে সেই আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিল, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত তার বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্র্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আফসার আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠা সভাপতি আজিজুর রব খান, চৌধুরী শহিদুল ইসলাম নয়ন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা, সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান তোতন, ইকরামুল হক ইকু চৌধুরী, প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, নূর-উন-নবী, আবু নঈম, নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ, মহিলা দল নেত্রী সালেহা বেগম কোকলা, চমন আরা বেগমসহ দলের প্রয়াত সকল নেতাকর্মীকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ ও তাদের বিদেহী আত্মা মাগফিরাত কামনা করেন। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য গোলাম রেজা দুলু, মিজানুর রহমান খান, এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, আব্দুস সালাম আজাদ, মারুফুল ইসলাম, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক লোকসমাজ পত্রিকার প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, আশরাফুজ্জামান মিঠু, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।
এর আগে সকালে দলীয় নেতাকর্মীরা জাতীয় এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, সাম্প্রতি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। এ সময় মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত ও গুরুতর অসুস্থ দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থতা এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করা হয়। এছাড়া বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামসহ যশোর জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রয়াত সকল নেতা-কর্মীর রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যাদুর্গত মানুষের জন্যও দোয়া করা হয়।