# স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অভিভাবক-পরীক্ষার্থীরা
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) এবারের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্র শুরু হয় পরীক্ষা। প্রথমদিনে প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ীই হয়েছে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণে কাজ করেছে ৫০টির বেশি ভিজিল্যান্স টিম। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২শ’ গজের ভিতরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের নিষিদ্ধসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন শ্রুতিলেখক ও অতিরিক্ত সময়।
তবে পরীক্ষা দেয়ার রেজ্রিস্টেশন করলেও এদিন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন এক হাজার ৬৩৮ পরীক্ষার্থী। এদিকে করোনা সতর্কতায় কেন্দ্রের সামনে ভিড়ের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন দেখা যায়নি অভিভাবক-পরীক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র থেকে মাস্ক ও প্রবেশের আগেই স্যানিটাইজার দিতে দেখা গেছে।
জানা যায়, যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীন খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবার মোট পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ১৪০টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৮টি বেশি। যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মতিন জানান, অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৭ হাজার ৮৫৪ জন ছাত্র এবং ৫৮ হাজার ৪৭২ জন ছাত্রী। বিজ্ঞান: ২২ হাজার ০৭৭ জন, মানবিক: ৮১ হাজার ৪৭৬ জন ও বাণিজ্য: ১২ হাজার ৭৬৪ জন। বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আসমা বেগম জানান, প্রথমদিনের বাংলা পরীক্ষা বোর্ডের আওতাভুক্ত সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, নকল রোধে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভিজিল্যান্স টিম দায়িত্ব পালন করছে।
# পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে ভিড়, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অভিভাবক-পরীক্ষার্থীরা
দেশে করোনার প্রকোপ থাকায় এবার এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। যশোর শিক্ষা বোর্ডের ১৪০টি কেন্দ্রেও এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করা অধিকাংশ পরীক্ষার্থীদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। আবার ভিড়ের মধ্যে থাকা অভিভাবকদের মুখেও ছিল না মাস্ক। তবে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র থেকে মাস্ক দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের আগেই স্যানিটাইজার দিতে দেখা গেছে।
# এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ১৩৪ পরীক্ষার্থী
এবার যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের দশ জেলা থেকে ১৩৪ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মতিন জানান, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাচ্ছেন। এরকম পরীক্ষার্থী রয়েছেন ১৪ জন। বাকি ১২০ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থী অতিরিক্ত ৩০ মিনিট করে সময় পাচ্ছেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, যেসব কেন্দ্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন, যত্ন সহকারে তাদের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পরীক্ষা দিতে রেজিস্ট্রেশন করলেও বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দেয়নি ১৬৩৮ জন। যা গত বছর ছিলো ১৩২৮ জন। এ বছর খুলনা জেলায় অনুপস্থিত ছিলেন ৩৫৬ জন, বাগেরহাটে ১২৬ জন, সাতক্ষীরা ১৯৮ জন, কুষ্টিয়াতে ২০১ জন, চুয়াডাঙ্গা ১২৭ জন, মেহেরপুরে ৬২ জন, যশোরে ২১৯ জন, নড়াইলে ৬৮ জন, ঝিনাইদহ ২০৮ জন, মাগুরাতে ৭৩ জন।