বাংলার ভোর ডেস্ক
আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধিদল। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নয়।
মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোনো সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন তাদের দেননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা পরিস্কার করে বলেছি, ডিসেম্বর মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো তাঁকে জানিয়েছি। যার মধ্যে প্রধান ছিল নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ। আমরা বলেছি যে বর্তমানে রাজনৈতিক যে পরিস্থিতি আছে এবং দেশের যে অবস্থা, তাতে আমরা বিশ্বাস করি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একই সঙ্গে চলমান যে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, তাতে আমরা সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করছি। গত কয়েক দিন আগে সংস্কারে আমাদের যে মতামতগুলো তা আমরা দিয়েছি এবং আগামীকাল আমাদের সঙ্গে (ঐকমত্য কমিশনের) বৈঠক আছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি, যে বিষয়গুলোতে সব দল ঐকমত্য হবে, আমরা সেগুলোর চার্টার (সনদ) করতে রাজি আছি এবং সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে আমরা…নির্বাচনের দিকে চলে যেতে পারি। বাকি যে সংস্কার, সেগুলো আমদের যে রাজনৈতিক দল নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেবে।’
বৈঠকের আলোচনা সম্পর্কে বিএনপির প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে প্রধান উপদেষ্টা কিছু বলেননি। তিনি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। তবে তিনি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করবেন না, তা বলেননি। বিএনপি এতে সন্তুষ্ট হয়নি। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে।
বিএনপি বলেছে, ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। তাই ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার।
বিএনপির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহম্মেদ ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।