শ্যামনগর প্রতিনিধি
নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুঢ় ব্যবহারে সহকারী শিক্ষিকা শান্তি রানী স্কুলেই অজ্ঞান হয়ে যান। এ সময় সহকর্মীরা তাকে শ্যামনগর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল ১০ ঘটিকার। এ ঘটনায় শিক্ষিকার স্বামী অশোক কুমার গায়েন বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় প্রধান শিক্ষককে বিবাদী করে লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শিক্ষিকা শান্তি রাণী গত ২৮ এপ্রিল ব্যাংক ঋণের কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি স্বাক্ষর না করায় ওই দিন রাতে শিক্ষিকা ও তার স্বামী স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম আতাউল হক দোলনকে বিষয়টি জানালে, তিনি প্রধান শিক্ষককে স্বাক্ষর করার জন্য মোবাইল ফোনে বলে দেন। পরে সোমবার সহকারী শিক্ষিকা পুনরায় স্বাক্ষর করানোর জন্য স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ হুমকি ধামকি দেন। এ সময় শিক্ষিকা শান্তি রানী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। বর্তমান তিনি শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন শিক্ষিকা হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান অশালীন ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে বলেন ওই শিক্ষিকা ব্যাংক লোনের কাগজে স্বাক্ষর নিতে আসলে আমি তাতে স্বাক্ষর করে দিই।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম মুঠো ফোনে বলেন বিষয়টি আমি জানিনা তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।