বাংলার ভোর প্রতিবেদক
‘যশোরে প্রবাসী রবিউল ইসলামকে ধরে নিয়ে বিয়ে’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সত্য নয়। প্রকৃতপক্ষে রবিউলের সাথে আমার দীর্ঘ ৪ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন আমি ও রবিউল দেখা করতে গেলে আমার বোন বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হয়। এখন রবিউল স্থানীয় বিএনপি নেত্রী জেসমিন নাহার বর্ষার কু-পরামর্শে আমাকে নির্যাতন ও বাড়ি তুলে নিচ্ছে না।
বুধবার প্রেসক্লাব যশোরের শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল আলম মুকুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শহরের বেজপাড়া গুলশান মোড় এলকার মরহুম মুজিবর রহমানের মেয়ে সদ্য বিবাহিতা মিম আক্তার ডলি।
লিখিত বক্তব্যে মিম আক্তার ডলি বলেন, আমি অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী। আমার বড় বোনের শ্বশুর বাড়ি যশোর সদরের মনোহরপুর ফুলবাড়ি গ্রামে। বোনের বাড়ি যাতায়াতের সুবাদে সম্পর্কে বড় বোনের দেবর রবিউলের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে রবিউল বিদেশে চলে যায়। কথা ছিল দেশে ফিরে রবিউল আমাকে বিয়ে করবেন। সম্প্রতি রবিউল দেশে ফিরে আসে। আমার সাথে তার আগের মত যোগাযোগ ছিল।
গত ৩ এপ্রিল রবিউল আমার সাথে দেখা করতে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে আমার বোন আমাদের বাড়িতে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর উভয় পরিবারের সম্মতিতে রবিউলের সাথে আমার বিয়ে হয়।
তিনি বলেন, পরদিন রবিউল আমাকে আমার পিতার বাড়ি রেখে চলে যায়। আর ফিরে আসেনি। পরে রবিউলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়। রবিউলের পক্ষে আমার পরিবারের সাথে স্থানীয় বিএনপি নেত্রী জেসমিন নাহার বর্ষা যোগযোগ করেন। তিনি দলীয় প্রভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের সদ্যস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান। দ্রুত এর সমাধান না করা হলে আমার বড় বোনের বাড়িতে হামলা মারপিট করা হবে বলেও হুমকি দেন। দাবি করেন তিন লাখ টাকা। একপর্যায়ে গত ৬ এপ্রিল রবিউল ও তার স্বজনেরা আমার পিতার বাড়িতে এসে দাবিকৃত টাকা না দিলে আমাকে নিয়ে সংসার করবেনা বলে জানিয়ে চলে যান। আমি নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা করেছি।
তিনি আরও বলেন, মামলা করায় আমার উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে সম্মানহানি করছে। আমি ও আমার পরিবারের কেউ রবিউল ইসলামে তুলে নিয়ে বিয়ে করিনি। প্রেমের সম্পর্কে আমাদের বিয়ে। আমি যাতে রবিউলের সাথে সংসার করতে পারি সে ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মা শাহিদ বেগম, বোন পপি আক্তার, পলি আক্তার, হানুরা বেগম প্রমুখ।