বাংলার ভোর প্রতিবেদক
দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার মাদকসহ ধরা পড়া যশোরের শার্শার কন্যাদহ গ্রামের আলোচিত রোকনুজ্জামান জনি ফের আলোচনায় এসেছেন। গত শুক্রবার ও শনিবার স্থানীয় কন্যাদহ বাজার ও যুবদল নেতা শহিদের বাড়িতে হামলা করে আলোচনায় আসেন বিএনপির পরিচয় দেয়া এই রোকনুজ্জামান জনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কন্যাদহ গ্রামের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান জনি গত ১৫ বছর বিএনপির রাজনীতি না করলেও এখন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে ও শনিবার দিবালোকে জিরেনগাছা গ্রামের সন্ত্রাসী ডাবলুর নেতৃত্ব রোকনুজ্জামান জনির লোকজন কয়েক দফায় বোমা হামলা করে। তারা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম শহিদের বাড়িতেও কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
শার্শা থানার ওসি কেএম রবিউল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় নাভারণ সার্কেল এএসপি নিশাত আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখান থেকে ৪টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। এজন্য এখনো মামলা রেকর্ড করা যায়নি।
এদিকে গতকাল সরেজমিনে কন্যাদহ গ্রামে গেলে রোকনুজ্জামান জনি ও তার পরিবারের অপকর্ম নিয়ে জনসাধারণ বিভিন্ন তথ্য দেন। বেশ কয়েক মাস বিরতির পর আবার অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে বিএনপির স্থানীয় নেতা পরিচয় দেয়া রোকনুজ্জামান জনি। এর আগে তিনি বরিশালের উজিরপুরে ফেনসিডিলসহ ধরা পড়েন। মাগুরাও তিনি মাদকসহ ধরা পড়েছিলেন। তার ভাই রেজাউল ইসলামের নামে রমনা থানায় মাদক মামলা ছিল। এসব মামলা তিনি ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’ গায়েব করে দিয়েছেন বলে প্রচার রয়েছে। এছাড়া মাদকসম্রাট খ্যাত আশানুর ওরফে হাসানুরের মামলাও গায়েব করেছেন একই পদ্ধতিতে।
শার্শা থানার ওসি কেএম রবিউল ইসলাম বলেন, কন্যাদহের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। মামলার পর আসামিদের নামে আর কোন মামলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে। তখন জনির নামে কয়টি মামলা আছে সেটাও জানা যাবে।