বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, জাতি গঠনের জিয়াউর রহমানের দুর্শিতা ছিল। তিনি শিশুদেরকে একেবারে ছোট থেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি শিশুদের বিকাশের জন্য শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেখানে শিশুরা রাষ্ট্রীয়ভাবে বির্তক, আবৃত্তি, নাচ, গানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অংশ নিয়ে মাধ্যমে নিজেদের বিকশিত করার সুযোগ পেতো। আজকে যারা দেশের খ্যাতনামা এবং অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্পী তারা এভাবে তৈরি হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকার শিশুদের বিকশিত হওয়ার সেই সুযোগটি বন্ধ করে দিয়েছিল। সেটি আবার শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা ছাত্রদল আয়োজিত উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার জেলা শাখার সার্বিক ব্যবস্থপনায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
শহীদ জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের ওপর মোটি ১৫টি বিষয়ে ১৫ শিক্ষার্থী উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এর মধ্যে সরকারি এম এম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মারিয়া খাতুন প্রথম, যশোর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের পঞ্চম সেমিস্টারের ইমামুল হোসেন দ্বিতীয় এবং সরকারি এম এম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর খাদিজাতুল সাবিহা লিসা তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
প্রতিযোগিতার তিন বিজয়ীসহ অংশগ্রহণকারী সকলকে সনদ ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম নিজেই প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন। তার সাথে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সজল, জিয়া পরিষদ যশোরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজা খাতুন, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক তারেক, জিয়া স্মৃতি পাঠাগার যশোরের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ পলাশ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনেওয়াজ ইমরান।