বাঘারপাড়া সংবাদদাতা
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে এডিপি প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের নির্দেশনা অনুযায়ি কাজ না করে প্রকল্পের সাথে জড়িতরা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, রায়পুর ইউনিয়ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৮ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের নির্দেশনা অনুযায়ি ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শামছুল আরফিন গত ১২ আগস্ট পরিষদের সভায় তিনটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। ১ নম্বর প্রকল্পে ২ লাখ ৮৫ হাজার, ২ নম্বর প্রকল্পে ২ লাখ ৯০ হাজার ও ৩ নম্বর প্রকল্পে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এসব কাজ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) মাধ্যমে করা হয়েছে।

২ নম্বর প্রকল্পে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকায় মধ্যে ৪টি টিউবওয়েল ও ২টি রাস্তা সংস্কার দেখানো হয়েছে। দুটি রাস্তা প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দুটি কাজেই নয়-ছয় হয়েছে। সামান্য ও নিম্ন মানের ইটের কাজ করেই টাকা তুলে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

রায়পুর বাজার পীচ হতে ধানের হাট অভিমুখে পলাশের দোকান পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরেজমিনে এখানে দেখা গেছে, মাত্র পঁচিশ ফুট ইটের কাজ হয়েছে। বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, নিম্নমানের কয়েক’শ ইট দিয়ে বেশি পরিমান বালি দিয়ে রাস্তা মেরামত করা হয়েছে।

একই প্রকল্পে ইউনিয়নের সেখেরবাতান নির্মলের বাড়ি হতে দুদু মিয়ার বাড়ি অভিমুখে ফ্লাট সলিং করণ ও ঘ্যাষ দ্বারা রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। (আসলে রাস্তাটি শালবরাট নির্মলের বাড়ি হতে কমিউনিটি ক্লিনিকের আগে) সম্প্রতি ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে মাত্র ত্রিশ ফুট ইটের কাজ হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাত হলে ইটে খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

১ নম্বর প্রকল্পে সেখেরবাথান আবু সাঈদের বাড়ির পাশে প্লাস্টিক পাইপ স্থাপনে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এখানে নতুন কোন পাইপ দেয়া হয়নি। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, আগের পাইপের দুই মুখে কয়েকটি ইট দিয়ে গাথুনি দেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যক্তি অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি যোগসাজশে এসব প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছে।

জানতে চাইলে প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য (৮ নম্বর ওয়ার্ড) সাইফুজ্জামান পলাশের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য জানা সম্ভব্য হয়নি।

উপজেলা প্রকৌশলী আবু সুফিয়ানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শামছুল আরফিন জানান, আমি কারিগরি বিষয় কিছু বুঝিনা। যারা বোঝে এবং প্রকল্পের সাথে জড়িত তাদের সাথে কথা বলেন।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version