বাংলার ভোর প্রতিবেদক
৪ মাস কারাভোগের পর এলাকায় ফিরে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ূব।
শনিবার বিকেলে ঢাকা থেকে সড়ক পথে যশোরের বাঘারপাড়ায় ফিরেন। এ সময় সড়কে হাজার হাজার নেতাকর্মী মোটরসাইকেল শোডাউন ও ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন তাকে। বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলা শহরের চৌরাস্তায় সমাবেশস্থলে পৌঁছালে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী হাত নেড়ে তাদের নেতাকে স্বাগত জানান।
বাঘারপাড়া উপজেলার বিএনপির আহবায়ক শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ূব। তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে আমি অনেক সম্পদ হারিয়েছি। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা আমার অমূল্য সম্পদ। এই সম্পদ নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। অতীতে সংকটে, ক্রান্তিলগ্নে আপনারা আমার পাশে ছিলেন। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম। আগামিতেও আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাবো। যেকোন সংকটে একসঙ্গে লড়বো।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির সংকটকালে যারা ছেড়ে গিয়েছিল, তারা এখন দলে এসে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিতে চায়, তারা অপকর্ম করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্টের পায়তারা করছে। এদেরকে দলে জয়গা দেয়া যাবে না। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাঘারপাড়া পৌর বিএনপি সভাপতি আবদুল হাই মনা, বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মশিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দিকী প্রমুখ।
এদিকে, ৩০ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান টিএস আইয়ুব। জামিনের পর টিএস আইয়ূব জানান, দুদকের একটি মামলায় তিনি দীর্ঘদিন জামিনে ছিলেন। জামিনে থাকাবস্থায় গত ২৩ এপ্রিল নির্ধারিত হাজিরার দিনে ঢাকার স্পেশাল সিনিয়র জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক তার প্রথম কর্মদিনে কোনো কারণ ছাড়াই জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এরপর থেকে তিনি কয়েক দফা জামিনের আবেদন করলেও পতিত আওয়ামী লীগ সরকার জামিন দেয়নি। সর্বশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে গত ২৭ আগস্ট তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে দীর্ঘ শুনানির পর বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।