বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বাজার দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে যশোরের ঝিকরগাছায় একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময়য় নিহতের বড় ভাই গুরুতর জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে।
শনিবার উপজেলার ছুটিপুর বাজারের জামতলা মোড়ে বিকেল ৫টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। পরে রোববার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আশা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।।
নিহত আশাদুল হক আশা (৪০) বালিয়া গ্রামের মৃত আতাউল হকের ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর জখম নিহতের বড় ভাই মহিদুল ইসলাম যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের বোন নাসিমা বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ এজাহারনামীয় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ছুটিপুর গ্রামের আহম্মদ আলী (৬০) এবং রাকিব (২০), কাগমারি গ্রামের ওলিয়ার রহমান (৫২) এবং শাহাঙ্গীর (৪৫), মোহাম্মদপুর গ্রামের জোনাব আলী (৫৫) আরব আলী (৫০) ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাড়ি বিক্রি করে এলাকা ছাড়েন
নিহত আশা। গত ৫ এপ্রিল তিনি ওমান থেকে এলাকায় ফেরেন। শনিবার বিকেলে জামতলা মোড় স্থানীয় বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে একটি মহড়া বের করেন আশা ও তার ভাই মহিদুল। এ সময় বিপ্লবের নেতৃত্বে বিএনপির অপর একটি পক্ষ বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় হামলায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত হন আশা ও মহিদুল।
প্রত্যক্ষদর্শী মহিদুল ইসলামের ছেলে শান্ত ইসলাম বলেন, ছুটিপুর বাজারে জামতলা মোড়ে আমার বাবা ও চাচাকে মোহন, নসু, বিপ্লব, সাদ্দামসহ পাঁচজন মিলে কুপিয়ে আহত করে। পরে তাদেরকে ভ্যানে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে পাঠায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আটলিয়া গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সভাপতি সাবেরা নাজমুল মুন্নির দুই অনুসারী উপজেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মমিনুর রহমান এবং গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোহেল খান এই দুই গ্রুপের নেতৃত্ব দেন। এ ঘটনার জের ধরেই এ সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড।
উপজেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মমিনুর রহমান জানান, ইউনিয়নের দুরবস্থার কথা সভাপতি সাবিরা নাজমুল মুন্নি এবং ঝিকরগাছা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান সামাদ নিপুনকে জানানো হয়েছিল ।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান বলেন, বাজার দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এজাহারনামীয় ছয় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। তবে হত্যার ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।