বাংলার ভোর প্রতিবেদক
উপদেষ্টা পরিষদের নতুন সদস্য শিল্পপতি সেখ বশির উদ্দিনের প্রত্যাহার দাবিতে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার বিকেলে যশোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর প্রেসক্লাবের সামনে তারা ঘন্টাব্যাপি বিক্ষোভ করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার অন্যতম সমন্বয়ক রাশেদ খান।
এর আগে রোববার রাতে সেখ বশির উদ্দিনের নাম ঘোষণার পর উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা শহর। খুনি হাসিনার দোষর আখ্যা দিয়ে তাকে প্রত্যাহার করার দাবি করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা শহরের দড়াটানা মোড় থেকে মিছিল বের করে। মিছিল শেষে তারা দড়াটানা ভৈরব চত্বরে পথসভা করে।
এ সময় ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন, সেখ বশির উদ্দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান বিরোধী তৎপরতায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের এই দোসরকে আইনের আওতায় আনার পরিবর্তে উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়ার ঘটনা আমাদেরকে হতবাক করেছে। এটা শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি ছাড়া আর কিছু নয়।
তারা বলেন, রক্তের বিনিময়ে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি পায় জনগন। আন্দোলনে ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে উপদেষ্টা হিসেবে মেনে নেবেনা তারা। মিছিল শেষে দড়াটানা চত্বরে অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তৃতাকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদ খান অবিলম্বে সেখ বশিরের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, সেখ বশির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান বিরোধী তৎপরতায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। ছাত্র-জনতার ওপরে হত্যা-নিপীড়নের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলাও হয়েছে।
ফ্যাসিস্ট সরকারের এই দোসরকে আইনের আওতায় আনার পরিবর্তে উপদেষ্টা নিয়োগ দেয়ার ঘটনা আমাদেরকে হতবাক করেছে। এটা শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি বলেন, রক্তের বিনিময়ে ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তি পায় জনগণ। আন্দোলনে ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে উপদেষ্টা হিসেবে মেনে নিবে না তারা। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক সুকর্ণ মারুফ, নূর ইসলাম, এস কে সুজন প্রমুখ। প্রসঙ্গত, সেখ বশির উদ্দিনের আরেক ভাই শেখ আফিল উদ্দিন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের চার মেয়াদে যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।