খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার কৈয়াবাজার এলাকার ঘোলা গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে করে লুটপাট ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই শিক্ষা কর্মকর্তার মেয়ে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোজাম্মেল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ গোবিন্দ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্য ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে একতলা বাড়ির ছাদের গ্রিল ভেঙে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বাড়ির মালিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তাকে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে ছাদের রুমে অজ্ঞান করে আটকে রাখে। নিচে শিক্ষা কর্মকর্তার স্ত্রীকে স্প্রে করে অন্য একটি রুমে বেঁধে রেখে তাদের মেয়েকে অচেতন করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সদ্য মেয়েটির বিয়ের আশীর্বাদ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে থাকা নগদ তিন লাখ টাকা ও ১১ ভরি সোনা লুট করে নিয়ে যায়।
সকালে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার মেয়ে ও তার অসুস্থ স্ত্রীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আসামি ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানায় পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়ে ও তার পরিবারের সদস্যদের ফেসবুকে ও ফোনে হুমকি দিতো একটি ছেলে। এর মধ্যে মেয়ের বিয়ে ঠিক হওয়ায় এই ঘটনা ঘটতে পারে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
শিরোনাম:
- মশিউর রহমান যাদু : তরুণ প্রজন্মের জন্য এক অনুকরণীয় নেতৃত্বের গল্প
- একটি ওএমএস ডিলারের বিপরীতে ২০টি আবেদন
- বেনাপোল ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
- যশোরের বোমা হামলা মামলায় তিনদিনের রিমান্ড সোহান
- কেশবপুরে ছাত্রজনতার ধাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে খালে ঝাঁপ সাবেক মেয়র রফিকের
- যশোরে প্রতিবাদী সমাবেশ ও মশাল মিছিল
- ঝিকরগাছায় এলাকাবাসীর পিটুনীতে নিহত মাদকাসক্ত
- মব তৈরি : এবার পুলিশের হাতে কেশবপুরের সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম