বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ভৌত বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি (বিএএস) স্বর্ণপদক-২০২১ পেয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাভেদ হোসেন খান। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এ স্বর্ণপদক তুলে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি (বিএএস) স্বর্ণপদক-২০২১ পাওয়ায় অধ্যাপক ড. মো. জাভেদ হোসেন খানকে অভিনন্দন জানিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ বলেন, এ স্বর্ণপদক অর্জন করায় তাকে যবিপ্রবি পরিবারের পক্ষ থেকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি। তার মতো আরও গবেষক যবিপ্রবিতে যেন বেড়ে উঠতে পারে, এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যবিপ্রবিকে গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম. জাহিদ হাসান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি এ কে আজাদ চৌধুরী, সম্পাদক অধ্যাপক ড. হাসিনা খান উপস্থিত ছিলেন।
ড. মো. জাভেদ হোসেন খান ২০১২ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগে যোগ দেন। এর আগে তিনি জাপানের ওয়াসিদা ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১১ সালে ডক্টর অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ২০১৪ সালে জাপানের তোহোকু ইউনিভার্সিটি ও ২০১৭ সালে চীনের হেনান ইউনিভার্সিটি থেকে পোক্ট ডক্টরাল ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। ন্যানো প্রযুক্তি সংক্রান্ত গবেষণার উন্নয়নের লক্ষে তিনি পৃথিবীর সাতটিরও বেশি দেশের সাথে যৌথ গবেষণা প্রকল্প তত্ত্বাবধানের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘এনএএমই ল্যাব’ স্থাপন করেন।
ইতোমধ্যে এ ল্যাব থেকে তিনটি ‘প্যাটেন্ট রাইট’-এর জন্য আবেদন করা হয়েছে। ড. মো. জাভেদ হোসেন খানের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকীতে ১৫০টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি ৭০টির বেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। তাঁর গবেষণা সাইটেশনের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও অধিক। বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায়ও ড. জাভেদ হোসেন খান স্থান করে আসছেন। গবেষণায় অবদান রাখায় অধ্যাপক ড. জাভেদ হোসেন খান ন্যানো জৈবপ্রযুক্তি সংক্রান্ত ২০১৮ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রবন্ধের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) স্বর্ণপদকের জন্য নির্বাচিত হন। এছাড়া যবিপ্রবি থেকেও সেরা গবেষক হিসেবে তিনি পুরস্কৃতও হয়েছেন।