কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পল্লীতে বিলের বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে মহিলাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় বসত-বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়নের বিদ্যাধরপুর গ্রাম এলাকার তালতলা বিলের একপাশে বাঁধ দেয়া নিয়ে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজু গ্রুপ ও অমেদুল ইসলাম পেরেক গ্রুপের মধ্যে বেশকিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টাও করেন স্থানীয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় বিদ্যাধরপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী ভাটামতলা বাজারে বিলের বাঁধ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে সেখানে অন্তত ১০ জন আহত রক্তাক্ত জখম হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সেই সাথে আহতদেরকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
আহতদের মধ্যে গুরুতর জখম হচ্ছেন- আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার, মফিজ উদ্দীন মণ্ডল, আশাদুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম, সুন্নত আলী, সাগরী খাতুন ও আনোয়ারা বেগম। বাকিরা রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাক মাস্টারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আহত আয়জুদ্দীনের মেয়ে সাগরী খাতুন জানান, রাত ৯টার দিকে অমেদুল ইসলামের লোকজন এসে তাদের বাড়ি ও পাশের লাল চাঁদ মণ্ডলের বাড়ি ভাঙচুর চালিয়েছে। সেই সাথে তারা তাকে ও লাল চাঁদ মণ্ডলের স্ত্রী ও নজরুল চেয়ারম্যানের মা আনোয়ারা বেগমকে বেধড়ক মারধর করেছে।
আহত সুন্নত আলী জানান, তিনি ভাটাআমতল মসজিদ থেকে এশার নামাজ আদায় করে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথে নজরুল চেয়ারম্যানের ভাইয়েরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাকেসহ অনেকের মারধোর ও কুপিয়ে জখম করেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।