বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের দুঃখ ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও দেশের অন্যতম নওয়াপাড়া নৌ বন্দর বিনিয়োগ ও ব্যবসায়ী বান্ধব করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন যশোর-৪ আসন (বাঘারপাড়া-অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ।
শনিবার দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ বলেন, ‘ঋণখেলাপি, দুর্নীতির অভিযোগ আছে-এমন কাউকে দল মনোনয়ন দেবে না বলে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে ক্লিন ইমেজের তরুণ ও ত্যাগী নেতারা মনোনয়ন পাবেন। আমি ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। জেল, জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
আসনটির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘দলের অনেকে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করছেন। অনেকে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন করে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছে। তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এক টাকাও অনৈতিক বাণিজ্য হবে না। বাঘারপাড়ায় আওয়ামী লীগের চারবারের সংসদ সদস্য রণজিৎ রায় যা করে গেছে; তেমন কোন কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। মানুষ নির্বিঘ্নে সমস্ত রকমের কাজকর্ম সম্পন্ন করতে পারবে। কাউকে অহেতুক কোন হয়রানির শিকার হতে হবে না। সভায় তিনি দলীয় মনোনয়ন লাভের জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া ও বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। দেশ স্বাধীনের পর ১২টি নির্বাচনের ৮টিতেই বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। যদিও সেসব নির্বাচনের মধ্যে রাতের নির্বাচন, ডামি নির্বাচনের মত নির্বাচও ছিল। তারপরও ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর পাল্টে গেছে এই আসনের ভোটের সমীকরণ। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ ছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্মসম্পাদক প্রকৌশলী টিএস আইয়ুব, অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমান, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আবদুল হাই মনা।
জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন যশোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসূল। এই আসনটিতে ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা টিএস আইয়ুব। এবারও তিনি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে জোরেশোরে প্রচারণায় রয়েছেন। তবে নেতাকর্মীদের দাবি টিএস আইয়ুব ঋণ খেলাপির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। সে কারণে এবার তিনি মনোনয়ন পাবেন না বলে ধারণা করছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এতে করে এই আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। তাদের মধ্যে অন্যতম জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ। যিনি ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন।